চানখাঁরপুলে হত্যা: মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল | চ্যানেল আই অনলাইন

চানখাঁরপুলে হত্যা: মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল | চ্যানেল আই অনলাইন

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে গুলি করে ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম (ফরমাল চার্জ) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র‍্যাইব্যুনাল।

রোববার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে অভিযোগটি আমলে নেয়ার আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এরপর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল অভিযোগটি (কগনিজেন্সে নেয়ার) আমলে নেয়ার আদেশ দিয়ে এবিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৩ জুন দিন ধার্য করেন। ট্রাইবুনালে আজ শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটরসহ অপর সকল প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সে তদন্ত প্রতিবেদনের অভিযোগে বলা হয় যে, রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় আসামীগন কর্তৃক নিরিস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কারীদের উপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যাবহার করে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, শহীদ মো ইয়াকুব, শহীদ মো রাকিব হাওলাদার, শহীদ মো ইসমামুল হক এবং শহীদ মানিক মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে।

তদন্ত সংস্থা এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র‍্যাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার দেয়া এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনটি ৯০ পৃষ্ঠার। তদন্ত করতে তদন্ত সংস্থার সময় লেগেছে ৬ মাস ১৩ দিন। তদন্ত প্রতিবেদনে ৭৯ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এছাড়া ১৯টি ভিডিও, প্রত্রিকার ১১ টি রিপোর্ট, ২ টি অডিও, বই ও রিপোর্ট ১১ টি এবং ৬ টি ডেথ সার্টিফিকেট সংযুক্ত করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে আসামী করা হয় সাবেক ডিএমপি কমিশনা হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনকে। যাদের মধ্যে গ্রেফতার আছেন ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, তার দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। জাজ্জ্বল্যমান এসব অপরাধের বিচার এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

Scroll to Top