চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়ানোর চাপে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা

চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়ানোর চাপে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা

সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর একসঙ্গে এই মাশুল বাড়ানোর ঘোষণা আমদানি-রপ্তানি পণ্য আনা-নেওয়ার প্রতিটি ধাপে পড়ছে। যেমন একজন রপ্তানিকারক কারখানা থেকে বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে পণ্য নেওয়ার পর প্রথমে ডিপোগুলো বাড়তি মাশুল আদায় শুরু করবে। আগামী ১ আগস্ট থেকে মাশুল বাড়ানোর হার কার্যকর করার কথা তারা ১৫ জুলাই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।

এরপর ডিপো থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দরে নেওয়ার পর বাড়তি মাশুল আদায় শুরু করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষের এই বাড়তি মাশুল আদায় শুরু হবে গেজেট প্রকাশের পর।

দুই দফায় বাড়তি মাশুল দেওয়ার পর এই রপ্তানি পণ্যের গন্তব্য যদি হয় যুক্তরাষ্ট্র, তাহলে একই পণ্যের ওপর পড়বে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক, যা আদায় হবে আগামী ১ আগস্ট থেকে।

আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রেও দিতে হবে বাড়তি মাশুল। যেমন আমদানি পণ্যবাহী জাহাজ বন্দরে আসার পর প্রথমে জাহাজ খাতের বাড়তি মাশুল দিতে হবে। এরপর কনটেইনার বা পণ্য খালাস, সংরক্ষণ, ওঠানো-নামানোর প্রতিটি ধাপেই গুনতে হবে বাড়তি মাশুল।

আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের এই বাড়তি মাশুলের বড় অংশই শুরুতে পরিশোধ করেন শিপিং এজেন্টরা। তাঁরা আবার আমদানিকারক-রপ্তানিকারক থেকে আদায় করে নেন। আবার দিন শেষে আমদানিকারকেরা পণ্যের মূল্যের সঙ্গে যুক্ত করে ভোক্তার কাছ থেকেই আদায় করেন।

Scroll to Top