চট্টগ্রাম থেকে: বিপিএলে এবারের আসরে ঢাকা ও সিলেট পর্বে তুলনামূলক ছোট বাউন্ডারি দেখা গেছে। সিলেটে তামিম ইকবাল বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তার চাওয়া ছিল বাউন্ডারিটা যেন আরেকটু বড় করা হয়। চট্টগ্রামের বাউন্ডারিটা আগের দুটি ভেন্যুর তুলনায় বড়ই ছিল। তাতে অবশ্য খুশি হয়েছেন তামিম। তার মতে, এই পরিমাপের বাউন্ডারিতে খেলা উচিত।
চট্টগ্রাম পর্বে আসরের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তামিমের ফরচুন বরিশাল। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাউন্ডারি নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানান। পাশাপাশি উইকেটের প্রশংসাও করেন।
‘উইকেট এই টুর্নামেন্টে ভালো ছিল। আপনি যদি মিরপুরের কথা চিন্তা করেন, সিলেট অসাধারণ, চিটাগংও ঠিক আছে। ভালো লাগার বিষয় বাউন্ডারি বেড়েছে। বাউন্ডারির সাইজ আগের চেয়ে বড়, এটাই যেটা আপনি চান। কারণ, আজকে দেখছেন অনেকগুলো ক্যাচ হয়েছে বাউন্ডারিতে। এই জিনিসটা থাকা উচিত। আমার কাছে মনে হয় এটাই সঠিক সাইজ। এই সাইজে খেলা উচিত, কোনোভাবেই ৫২-৫৩ মিটার নয়।’
বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের আসা-যাওয়া লেগে থাকে। চলতি আসরেও ব্যতিক্রম হয়নি। এখন পর্যন্ত অনেকে এসেছেন, চলেও গেছেন। তামিমের বরিশালের হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও কাইল মেয়ার্স খেলে চলে গেছেন। বিদেশি ক্রিকেটারদের আসা-যাওয়া বিষয়টি টিম কম্বিনেশনে জটিলতা সৃষ্টি করে বলে মনে করেন তামিম। এমনকি তিনি এখনও জানেন না তার দলের ঠিক কম্বিনেশনটা কী হবে।
‘এখনও বলাটা কঠিন, অলরেডি ৬ ম্যাচ হয়ে গেছে সঠিক কম্বিনেশনটা কী? সম্ভাবনা রয়েছে, সামনের ম্যাচগুলোও কিছু কিছু পরিবর্তন হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি টিমের জন্য যে সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে বের করা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হয়। আমাদের টিমগুলো যদি দেখেন প্রথম দু-তিনটা ম্যাচে প্রায়ই কাছাকাছি ছিল, তারপর দুটা বড় পরিবর্তন ছিল মেয়ার্স আর শাহিন, এটাই। তবে আজকের ম্যাচের কম্বিনেশন ভালো ছিল। সম্ভবত আগামীকালের ম্যাচে কিছুটা ভিন্ন দেখা যেতে পারে।’
ফরচুন বরিশালের ফ্যানবেজ দারুণ সক্রিয়। ঢাকা এবং সিলেটের পর চিটাগংও মাতাচ্ছেন তারা। এমন ফ্যানবেজ থাকাকে দারুণ বলেছেন তামিম। বলেছেন, ‘আসলে আমরা অসম্ভব ভাগ্যবান যে ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য খেলি। যেখানে যাই না কেনো চিটগাং-ঢাকা-সিলেট, আমরা সবসময় একটা ভালো ক্রাউড দেখি। আপনি যদি দেখেন এখন পর্যন্ত ছয়টা ম্যাচের প্রত্যেকটা ম্যাচেই আমাদের ক্রাউড এসেছে। এটা দারুণ বিষয়।’
‘আসলে আমি সবসময় বলি, বিপিএলের প্রসরতা বাড়ানোর জন্য এই বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির ফ্যানবেজ থাকবে, আরেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজির আরেক ধরনের ফ্যানবেজ থাকবে। যেরকম আইপিএলে যে একটা কথা হয় না, একটা প্লেয়ার দেখতেছেন একটা ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ১০টা বছর খেলতেছে। ওদের নিজেদের একটা ফ্যানবেজ হয়ে যায়। আপেক্ষিকভাবে আমাদের বিপিএলে আগে, হয়তো দুবছর একরকম টিম ছিল তারপর আবার রুল পরিবর্তন হয়ে যায়। এই জিনিসটাকে যদি ধরে রাখা যায় তাহলে ওই ফ্যানবেজটা তৈরি হবে। আপনি দেখেছেন যে, বরিশালের ফ্যানবেজটা অনেক বড়।’ -যোগ করেছেন তামিম।