চকলেটপ্রেমীদের জন্য খারাপ খবর, বাড়ছে দাম

চকলেটপ্রেমীদের জন্য খারাপ খবর, বাড়ছে দাম

কিন্তু এই সাম্প্রতিক পতনের প্রভাব এখনই চকলেটের দামে পড়বে না। জেপি মর্গানের কৃষিপণ্য কৌশলবিদ ট্রেসি অ্যালেন বলেন, ‘আমরা এখনো একধরনের জের টানছি।’ তাঁর মতে, ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তিকে দাম যে রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছিল, তার প্রভাব এখনো সামলাতে হচ্ছে। এই উচ্চ দাম পুরো শিল্পকে প্রভাবিত করছে, ব্যবসার বাড়তি ব্যয় ভোক্তার ওপর চাপানো হচ্ছে। বাজারে এখনো ঘাটতি, কোকোয়া বিনের প্রাপ্যতা কমে গেছে। ফলে দামের চাপ আরও কিছুদিন থাকবে বলে মনে করেন তিনি।

সুইস চকলেট নির্মাতাদের সংগঠন চকোসুইসের মুখপাত্র লিডিয়া টোথ জানান, গত দুই বছরে কোকোয়ার দাম চার গুণ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। খুচরা দামের পরিবর্তন ধীরে হয় বলে নির্মাতাদের লাভের হারও কমে যাচ্ছে। ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক রপ্তানিকারক—সবাই এতে চাপের মুখে পড়েছে। কিছু খরচ ভোক্তার ওপর চাপানো হলেও দামের ক্ষেত্রে আরও সমন্বয় আসতে পারে। আগের দামে ফেরার সম্ভাবনা নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তবে ইস্টারের সময় কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে। জেপি মর্গানের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, শিল্প খাতের চাহিদা কিছুটা কমছে, অন্যদিকে সরবরাহ বাড়ছে। ইকুয়েডর ও ব্রাজিলে নতুন গাছের ফলন বাজারে আসছে। সেই সঙ্গে আবহাওয়া অনুকূলে আছে। যদিও দীর্ঘ মেয়াদে কোকোয়ার দাম ওপরের দিকেই থাকবে—প্রতি টন প্রায় ছয় হাজার ডলারে।

Scroll to Top