গ্রাহক সংযোগ উন্নত করা লক্ষ্য, পণ্য পরিবহণ থেকেও আয় ধরে রাখতে মরিয়া রেল

গ্রাহক সংযোগ উন্নত করা লক্ষ্য, পণ্য পরিবহণ থেকেও আয় ধরে রাখতে মরিয়া রেল

গ্রাহক সংযোগ উন্নত করা লক্ষ্য, পণ্য পরিবহণ থেকেও আয় ধরে রাখতে মরিয়া রেল

Last Updated:

গ্রাহক সংযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং পণ্য রাজস্ব বৃদ্ধি করতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে উদ্ভাবনীমূলক ব্যবস্থা এবং সম্প্রসারিত পরিচালন ব্যবস্থার মাধ্যমে পণ্য পরিবহণের নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে।

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে তার জোন ও জোনের বাইরে পণ্য সামগ্রী পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং উন্নত গ্রাহক সংযোগ ব্যবস্থা প্রদান করতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এই ধরনের ব্যবস্থাগুলি কার্যকর করার জন্য গ্রাহকদের দ্বারা বিভিন্ন সামগ্রীর সুগম ও সহজ পরিবহণের লক্ষ্যে অন্তর্মুখী ও বহির্গামী পণ্য ট্রাফিক হ্যান্ডলিং-এর জন্য আরও কিছু স্টেশন খুলে দেওয়া হয়েছে ও সজ্জিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন– কাজ শেষ বউবাজারে, বিশেষ ব্যবস্থা মেট্রোর লাইনে, মাটির চরিত্র বুঝতে করা হচ্ছে পরীক্ষা

গ্রাহক সংযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং পণ্য রাজস্ব বৃদ্ধি করতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে উদ্ভাবনীমূলক ব্যবস্থা এবং সম্প্রসারিত পরিচালন ব্যবস্থার মাধ্যমে তার পণ্য পরিবহণের নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার সময় ২০২৪-এর নভেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গের তুফানগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে ত্রিপুরার জিরানিয়া রেলওয়ে স্টেশনে চালের একটি কনসাইনমেন্ট সফলভাবে পরিবহণ করা হয়েছে। ‘মিনি রেক ডিমান্ড’ স্কিমের অধীনে সাধারণ চালের এই রেকটি মেসার্স তুফানগঞ্জ অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড প্রেরণ করেছিল। এই লেনেদেনের পেমেন্ট করা হয়েছিল অনলাইনের মাধ্যমে, যার দ্বারা গ্রাহক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ভারতীয় রেলের ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমকে গ্রহণ করার প্রতিফলন ঘটেছে।

আরও পড়ুন– কলকাতার একাধিক জায়গায় ইডি-র হানা ! ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

ট্রাক থেকে প্রত্যক্ষ লোডিং করা থেকে শুরু করে কনসাইমেন্টের ওজন এবং পরিমাণের যত্নশীল ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়াটি নির্ভরযোগ্য, স্বচ্ছ এবং উচ্চমানের রেল পণ্য পরিষেবা প্রদানের প্রতি এই রেলওয়ের প্রতিশ্রুতিকে বর্ণনা করে। এই কনসাইমেন্টটি উচ্চ সুরক্ষার মান মেনে চলেছিল, ফিটনেস এবং জল প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে যৌথভাবে ওয়াগনগুলি পরিদর্শন করা হয়েছে, ফলে রেলওয়ে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থাকে দেশের মধ্যে সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও দ্রুত পণ্য পরিবহণের অন্যতম একটি পদ্ধতি হিসেবে পরিগণিত করেছে।

আরও একটি মাইলস্টোন হিসেবে প্রথমবারের জন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বিন্নাগুড়ি রেলওয়ে  স্টেশন থেকে পশ্চিমবঙ্গের এসএসপিএল সাইডিং পর্যন্ত কোয়ার্টজাইট পরিবহণ শুরু করেছে। এই নতুন ব্যবস্থার ফলে প্রতি রেকে আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা রাজস্ব উৎপন্ন হবে বলে আশা করা হয়েছে, যা অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য নতুন পথ খুলে দিবে এবং পণ্য পরিবহণ বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে জোনের প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপগুলির দ্বারা পণ্যবাহী লজিস্টিক ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করা এবং বাধাহীন পরিবহণ ব্যবস্থা প্রদানের ক্ষেত্রে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের নিরলস প্রচেষ্টার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, ফলে রেলওয়েকে সমগ্র দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যগুলির জন্য একটি বিশ্বস্ত ও পছন্দের অংশীদার হিসেবে নিশ্চিত করে তুলেছে। এটি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে পণ্যবাহী সংযোগ উন্নত করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যা রেলওয়ের বর্ধিত দক্ষতা ও গ্রাহককেন্দ্রিক পদ্ধতিকে প্রতিফলিত করেছে।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/

গ্রাহক সংযোগ উন্নত করা লক্ষ্য, পণ্য পরিবহণ থেকেও আয় ধরে রাখতে মরিয়া রেল

Scroll to Top