তবে সেসব মামলা থেকে কবে কীভাবে সুব্রত বাইন মুক্তি পেলেন, তারপর গোপনে বাংলাদেশে হস্তান্তরের আগপর্যন্ত ভারতের কোথায়, কোন সংস্থার হেফাজতে ছিলেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য এখনো বের হয়নি।
গুম–সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন চিহ্নিত অপরাধীকে বেআইনি প্রক্রিয়ায় দেশে আনা এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত সুব্রত বাইনকে আটকে রাখা যায়নি। র্যাবের এমন ব্যর্থতা সুব্রত বাইনকে নতুন করে অপরাধের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার সুযোগ দিয়েছে।
সুব্রত বাইনকে গোপনে, বেআইনি প্রক্রিয়া এবং অনানুষ্ঠানিক সমঝোতার মাধ্যমে নিয়ে আসার কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাব্যবস্থাকে শক্তিশালী না করে দুর্বল করেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তার নামে গুমকে এভাবে সমর্থন করা হলে বাস্তবে জননিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না। এ ধরনের কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য ক্ষতিকর।