বাংলাদেশের অনেক নায়ক-নায়িকার ”সিনেমার বাজেটের তুলনায়” বেশি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন শাকিব খান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন রয়েছে, এই মেগাস্টার তার আগামী ঈদুল ফিতরের সিনেমা ‘প্রিন্স’ (ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম)-এর জন্য ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন!
ঢাকা-কলকাতা মিলিয়ে দুই বাংলার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে এতো পারিশ্রমিক আজ পর্যন্ত শাকিব খান ছাড়া কেউ নেননি! একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে ৩ কোটি টাকা নেয়ার ব্যাপারে ‘প্রিন্স’ সিনেমার প্রযোজক ক্রিয়েটিভ ল্যান্ডের কর্ণধার শিরিন সুলতান বলেন, এটা তার প্রাপ্য। যেটা উনি ডিজার্ভ করেন সেটা তাকে অবশ্যই দিতে হবে। অবশ্যই আগের তার ছবিগুলো চেয়ে রেমুনারেশন (পারিশ্রমিক) বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক।
শিরিন সুলতান বলেন, আমরা যে ভাবনা থেকে এই ছবিটা নির্মাণ করতে যাচ্ছি, সেই জায়গা থেকে উনি যে পারিশ্রমিক নিচ্ছেন এটা ঠিক আছে।
প্রযোজক বলেন, গত কয়েক বছরে শাকিব ভাইয়ের সবগুলো ছবি দেখেছি। তিনি প্রতিটি কাজে নিজেকে নতুনভাবে হাজির হচ্ছেন। ছবিগুলো দেখে তার প্রতি একধরণের ধারণা ছিল। কিন্তু আমরা যখন তাকে প্রিন্স ছবি গল্প শোনাই উনি এক মনোযোগে ৪৫ মিনিটে শুনে ফেললেন। এতোটাই মনোযোগী ছিলেন মনে হলো এই গল্প তার পুরোপুরি মুখস্ত। আসলে তার এতো বছরের সাধনা আছে বলেই তিনি আজ এই অবস্থানে আছেন।
এই ছবিতে নায়িকা প্রসঙ্গে প্রযোজক বলেন, দেশ-বিদেশ মিলিয়ে আমাদের গল্প ও চরিত্রের সঙ্গে যাকে উপযুক্ত মনে হয় তাকে সিলেক্ট করবো। কয়েকজনের সঙ্গে কথাবার্তা আগাচ্ছে। আরও বলেন, নিজেদের উপর বিশ্বাস আছে, দর্শকরাও সাপোর্ট দিচ্ছেন। আশা করছি, আমরা তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো।
শুক্রবার ‘প্রিন্স’ ছবির ফার্স্টলুক পোস্টার প্রকাশ হয়েছে। যেখানে দেখা যায় ছোট-বড় বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে আছেন একদল মানুষ। তাদের মাঝখানে দুহাতে দুটি পিস্তল উঁচিয়ে প্রসারিত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন একজন। যাকে বিশেষভাবে আলাদা করা যাচ্ছে তিনি শাকিব খান।
আর চারপাশে আবছা আলোয় দৃশ্যমান রাজধানী ঢাকার মানচিত্র— যেখানে চিহ্নিত হয়েছে উত্তরা, আশকোনা, বাড্ডা, গাবতলি, মোহাম্মদপুর, কাফরুল, কারওয়ান বাজার, শাঁখারিবাজার ও গেণ্ডারিয়ার নাম। পোস্টার প্রকাশের সঙ্গে জানানো হয়েছে, “ঘোষণা হলো এক নতুন অধ্যায়ের— শহর চিনবে তার আসল নায়ককে।”
শাকিবকে নিয়ে ‘প্রিন্স’র মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সিনেমা প্রযোজনায় নেমেছে ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড। ছবিটি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন আবু হায়াত মাহমুদ। এটি হতে যাচ্ছে নির্মাতার প্রথম সিনেমা, এর আগে তিনি শতাধিক ফিকশন ও ডকু ফিল্ম নির্মাণ করেছেন।
নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ আগেই জানিয়েছেন, গুলিস্তান টু গুলশান সব ধরনের দর্শকের উপভোগের কথা মাথায় রেখে লার্জার দ্যান লাইফ স্কেলে সিনেমাটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এটি ৯০ দশকের ঢাকাকে কেন্দ্র করে একটি গল্প, যেখানে ক্রাইম, লাভ-অ্যাকশন-ইমোশন, ফ্যামিলি ড্রামা সবকিছুই থাকবে।
মেজবাহ উদ্দিন সুমনের গল্পে সিনেমাটির চিত্রনাট্য করেছেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। চলতি বছরের শেষে সিনেমাটির শুটিং হওয়ার কথা রয়েছে দেশের বাইরে, মুক্তি পাবে আগামী ঈদুল ফিতরে।