রিয়াদ, ২২ আগস্ট – জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করার পর ফিলিস্তিনিদের ইচ্ছাকৃতভাবে অভুক্ত রাখায় নিন্দা ও দুর্ভিক্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সৌদি গ্যাজেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার এক বিবৃতিতে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের অপরাধের পুনরাবৃত্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং জবাবদিহিতা না থাকায় গাজায় মানবিক বিপর্যয় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
সৌদি বলেছে, যদি এই ‘গণহত্যার যুদ্ধ’ থামানোর জন্য এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্যদের বিবেকের ওপর এটি একটি ‘কলঙ্ক’ হিসেবে থাকবে।
এদিকে জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা আইসিপি বলেছে, গাজা গভর্নরেটের গাজা সিটি ও এর আশপাশের এলাকায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে।
আইপিসি খাদ্য সংকটের মানদণ্ডে গাজা সিটিকে তাদের শ্রেণিবিভাগে ‘পঞ্চম ধাপে’ উন্নীত করেছে। যা খাদ্য সংকটের সর্বোচ্চ ধাপ। যার অর্থ গাজা সিটি ও আশপাশের এলাকার মানুষ এখন অনাহার এবং চরম দারিদ্রতায় ভুগছেন এবং মানুষ খাওয়ার জন্য কিছুই পাচ্ছেন না।
গাজার সিটির পর দেইর এল-বালাহ এবং খান ইউনুস শহরও একই দিকে এগোচ্ছে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে এ দুটি শহরে দুর্ভিক্ষ শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংস্থাটি। যার অর্থ গাজাজুড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে থাকবেন।
এছাড়া গাজার মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ বা ১০ লাখ ৭ হাজার মানুষ আইপিসির ‘ধাপ-৪’ এ রয়েছেন। তারা খাদ্য জরুরি অবস্থার মধ্যে আছেন। এই মানুষগুলো খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। অপরদিকে ৩ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ (জনসংখ্যার ২০ শতাংশ) ‘ধাপ-৩’ এ আছেন। তারাও খাদ্য সংকটে পড়ার ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
এদিকে, যুদ্ধ এবং মানবিক সাহায্যের উপর বারবার নিষেধাজ্ঞার মধ্যে গাজার সংকট প্রায় দুই বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র: আরটিভি নিউজ
এনএন/ ২২ আগস্ট ২০২৫