স্কট বোল্যান্ড-প্যাট কামিন্সদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্পে আটকে দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটে নেমে স্বস্তিতে নেই অস্ট্রেলিয়াও। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে তারা ৯৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছে। যদিও প্রথম ইনিংসে পাওয়া লিডে ১৮১ রানে এগিয়ে আছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
জ্যামাইকার স্যাবিনা পার্কে শনিবার রাতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ক্যারিবীয়দের মাঠে প্রথমবার গড়ায় দিবা-রাত্রির টেস্ট। ম্যাচে নেমে হঠাৎ ধসে ২২৫ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে প্রথম ইনিংসটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও। অজিদের বোলিং তোপে ১৪৩ রানে অলআউট স্বাগতিক দল।
প্রথমদিনের মতো পেস দাপটের ধারা অব্যাহত রেখে ক্যারিবীয়দের সবগুলো উইকেট ভাগাভাগি করেন অজি পেসাররা। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে নাথান লায়নের জায়গায় সুযোগ পাওয়া বোল্যান্ড। ১৫ ম্যাচ ও ২৭ ইনিংসের ক্যারিয়ারে ১৭.৩৩ গড়ে বোল্যান্ডের শিকার ৫৯ উইকেট। এ সংস্করণে ১৯১৫ সালের পর অন্তত ২ হাজার বল করা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম গড়ের রেকর্ড এখন তার।
১ উইকেটে ১৬ রানে দিন শুরু করা উইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে প্রথম ধাক্কা দেন জশ হ্যাজেলউড। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ১৪ রান করা ব্রেন্ডন কিংস। আগেরদিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটার রোস্টন চেজকে ফেরান কামিন্স। অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৭১ বলে ১৮ রান। এরপর ধরে খেলার চেষ্টা করেন মিডলঅর্ডারের জন ক্যাম্পবেল। তিনিও বেশি সময় টিকে থাকতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৬৫ বলে ৩৬ রান করা ক্যাম্পবেলকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন বোল্যান্ড।
শাই হোপের ২৩ ও জাস্টিন গ্রিভসের ১৮ রান ছাড়া বাকিদের কেউই দুঅঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ৫২.১ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষে ৮৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। তবে ধরে খেলতে পারেননি তাদের টপঅর্ডার ব্যাটাররা। শূন্য রানে উসমান খাজা আউটের পর তারাও বেশ চাপে পড়েছে। একপ্রান্ত থেকে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকলেও ধরে খেলতে থাকেন ক্যামেরন গ্রিন। শেষপর্যন্ত ৯৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ হয়, ৬৫ বলে ৪২ রানে টিকে আছেন গ্রিন। তৃতীয় দিনে তাকে সঙ্গ দিতে নামবেন ২৫ বলে ৫ করা কামিন্স।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন আলঝারি জোসেফ এবং ২ উইকেট শিকার করেছেন শামার জোসেফ।