চলতি মাসে আমেরিকান বহুজাতিক কফি হাউস স্টারবাকস জানিয়েছে, কিছু গ্রাহক ল্যাপটপ বাদ দিয়ে ডেস্কটপ মনিটর, প্রিন্টার নিয়ে আসছেন। অনেকে টেবিলে কাজের পর দীর্ঘ সময়ের জন্য টেবিল খালি রেখে বাইরে খেতে চলে যাচ্ছেন। এ সমস্যার সমাধানে স্টারবাকস কোরিয়া নতুন কিছু নির্দেশিকা চালু করেছে। এর লক্ষ্য হলো ‘কিছু ঘটনা’ নিয়ন্ত্রণ করা, যা অন্য গ্রাহকদের জন্য অসুবিধা তৈরি করে।
স্টারবাকস জানিয়েছে, কর্মীরা গ্রাহকদের সরাসরি চলে যেতে বলবেন না; বরং প্রয়োজনে নম্রভাবে ‘নির্দেশনা’ দেবেন। অতীতে গ্রাহকদের অনুপস্থিতিতে তাঁদের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরির ঘটনাও ঘটেছে। তাই এ নতুন নির্দেশিকাকে ‘আরও আরামদায়ক ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরির পদক্ষেপ’ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
তবে মনে হচ্ছে না যে এ নতুন নিয়ম মাঝারি মাপের ক্যাগংজোকদের আটকাতে পারছে। সম্প্রতি এক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিউলের গ্যাংনাম জেলার একটি স্টারবাকস শাখায় দেখা গেল, অনেক গ্রাহক শান্তভাবে ল্যাপটপ ও বই নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘সুনেউং’-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বেলা ১১টার দিকে এখানে আসি এবং রাত ১০টা পর্যন্ত থাকি। কখনো কখনো আমি আমার জিনিসপত্র রেখেই কাছাকাছি কোথাও খেতে চলে যাই।’
৭ আগস্ট নতুন নির্দেশিকা জারির পর স্টারবাকসে কোনো ডেস্কটপ মনিটর বা প্রিন্টারের মতো বড় সরঞ্জাম আর চোখে পড়ছে না। তবে স্ট্যান্ডে রেখে ল্যাপটপ, কি–বোর্ড ও মাউসের ব্যবহার চলছে। নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে কি না, জানতে চাইলে স্টারবাকস কোরিয়া বিবিসিকে জানিয়েছে, বিষয়টি ‘নিশ্চিত করা কঠিন’।