কোরআনকে ভালোবাসার ঘটনা

কোরআনকে ভালোবাসার ঘটনা

শেষ পর্যন্ত ঘটনাটি মহানবী (সা.)-এর কানে পৌঁছাল। তিনি সেই ইমামকে ডেকে পাঠালেন। মহানবী (সা.) তাঁকে বললেন, ‘সাহাবিরা যা বলছে তা করা থেকে কিসে তোমাকে বাধা দিল।’

ইমাম খুবই সুন্দর একটি উত্তর দিলেন। তিনি বললেন, ‘দেখুন, আমি এই সুরাকে ভালোবাসি।’ এতটুকু বলেই থেমে গেলেন, আর কিছু বললেন না।

মহানবী (সা.) তাঁর দিকে তাকিয়ে বুঝলেন, সে সত্যি কথাই বলছে। এরপর মহানবী (সা.) বললেন, ‘এই সুরার প্রতি ভালোবাসাই তোমাকে একদিন জান্নাতে নিয়ে যাবে।’ অর্থাৎ মহানবী (সা.) তাঁর এই কাজকে সমর্থন দিলেন। সাহাবিরা মহানবীর সিদ্ধান্তে খুশি হয়ে ফিরে গেলেন।

এখন প্রশ্ন হলো, আমাদেরও কী তাহলে সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা এখলাস পড়া উচিত? আসলে মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ বা আদর্শ কয়েকটি উপায়ে আসে। প্রথমত, তাঁর মুখনিঃসৃত বাণী এবং তাঁর কাজ হলো সুন্নাহ। এ ছাড়া কিছু কাজ মহানবী (সা.) নিজে করেননি, তবে সাহাবিদের করতে দেখে উৎসাহিত করেছেন। এগুলোও সুন্নাহ হিসেবে বিবেচিত।

এ ছাড়া কিছু কাজ মহানবী (সা.) সাহাবিদের করতে দেখেছেন, কিন্তু উৎসাহিত করেননি। জ্ঞানীদের অভিমত, ইমামের কাজটি এই শ্রেণিতে পড়ে। অর্থাৎ প্রতি রাকাতে সুরা ইখলাস পাঠ করলেও নামাজ হয়ে যাবে, তবে কাজটি তিনি আবশ্যক করেননি।

অনুবাদ: সাজিদ আল মাহমুদ

Scroll to Top