ইউরোপ জুড়ে পর্তুগীজ ফুটবল কোচ জোসে মরিনহোর কোচিং ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ। ২০০৪ সালে দেশের ক্লাব পোর্তোকে ট্রেবল জিতিয়েছিলেন। এরপর ২০১০ সালে ইতালির ইন্টার মিলানকেও ট্রেবল জিতিয়েছেন মরিনহো। কোচিং করিয়েছেন ইউরোপে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহাম হটস্পারকেও। ইউরোপে বিভিন্ন দেশে দীর্ঘ ক্যারিয়ার শেষে আবার নিজ দেশে কোচিংয়ের ইচ্ছাপোষণ করেছেন পর্তুগালের এ তারকা কোচ।
৬২ বর্ষী মরিনহো এখন কোচিং করাচ্ছেন তুর্কিয়ের ক্লাব ফেনেরবাখকে। ইতালির ক্লাব এস রোমা থেকে গত মৌসুমে পাড়ি জমান তুরস্কে। ২০২৬ সালের জুনে ক্লাবটিতে চুক্তি শেষ হবে মরিনহোর। চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই জানান পর্তুগালে আবার ফিরতে চান তিনি।
নতুন মৌসুমে বৃহস্পতিবার পর্তুগালের ক্লাব পর্তিমোঞ্জের বিপক্ষে ফেনেরবাখ প্রীতি ম্যাচে ২-১ ব্যাবধানে জয়লাভ করে। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘আমি পর্তুগালে আসতে চাই যা এখনও সম্ভব হয়নি। কিন্তু হতে পারে।’
‘এমন নয় যে, আমি ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে আছি। এমনটা ভাবি না। পর্তুগালে এসে সুখকর অবসরের কথা চিন্তা করি না। শারিরীক ও মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেই পর্তুগালে নিজেকে ফেরাতে চাই।’
পোর্তোকে সবকিছু জিতিয়ে মরিনহো ২০০৪ এ পর্তুগাল ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। ইপিএলে চেলসির পর এখন ১১তম ক্লাব ক্যারিয়ারে আছেন মরিনহো। তার শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে বার্সেলোনার সহকারী কোচ হিসেবে।
তবে পর্তুগালের জাতীয় দলের দায়িত্ব নিবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট কিছুই বলেননি। দুবার পর্তুগালের কোচ হতে চেয়েও এর আগে ব্যর্থ হয়েছেন। ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশনের কাছ থেকে পাননি সবুজ সংকেত।