স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কণ্ঠস্বর: রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে যাওয়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তিন নেতার হোটেলের বিল পরিশোধ না করার অভিযোগটি অসত্য ও বানোয়াট।
বুধবার গণমাধ্যমে ওই তিন নেতার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে বলা হয়, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তিন ছাত্রলীগ নেতা পর্যটন মোটেলের ভিআইপি সুইটে রাত্রিযাপন করেন। অভিযোগ তোলা হয় হোটেলের বিল রাজশাহীর অভিযুক্ত ছাত্রনেতারা পরিশোধ করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওই হোটেলে খোঁজ নেয়া হয়।
এই প্রতিবেদকের হাতে আসা হোটেলের বিলের কপিতে দেখা যায়, ১৯ সেপ্টেম্বর হোটেলে বিল পরিশোধ করতে স্থানীয় নেতারা চেষ্টা করেন। সেই সুযোগ না দিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটির গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক শেখ শামীম তূর্য নিজে বিল পরিশোধ করেন। তিনটি থাকার রুমের মোট বিল আসে ১৮ হাজার টাকা। হোটেল কতৃপক্ষ ২০% ছাড় দিলে রুম বিল কমে দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৪০০ টাকা এবং খাবার বাবদ বিলে আসে ১৭ হাজার ১শো। হোটেল থেকে বের হওয়ার সময়ই প্রথমে নগদ ২৩ হাজার ও সঙ্গে সঙ্গে বিকাশে ৮ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা তূর্য ও তার সঙ্গীরা। যা পর্যটন হোটেল রাজশাহীর বিল রিসিভ কপি নাম্বার #০৪২১০৭৪৯৯২ এবং ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ০০২৫০৪০৩৭-১১০১। শুধু তাই নয়,সরকারি নিয়ম মেনে ওই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতারা ভ্যাট এবং টেক্স পরিশোধ করার তথ্য মিলে।
পর্যটন মোটেল রাজশাহীর অভ্যর্থনাকারী কর্মচারী আব্দুল জলিল জানান, স্থানীয় ২৫ থেকে ৩০ জন নেতা উনাদের সঙ্গে ঐদিন দুপুরে খাবার খেয়েছেন,তবে হোটেল থেকে আউটের সময় ঢাকা থেকে আসা তিন নেতার মধ্যে একজন (শেখ শামীম তূর্য) সব বিল পরিশোধ করে যান।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটির গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক শেখ শামীম তূর্য বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। স্বচ্ছতার মাধ্যমেই তদন্ত শেষ করে ফিরে এসেছি। সেখানে রাত্রিযাপন ও খাবারের সমস্ত বিল সরকারি ব্যাট, ট্যাক্সসহ পরিশোধ করে এসেছি। ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে ভুল তথ্য উপস্থাপন ছাড়া আর কিছু নয়। তদন্ত করতে গিয়ে আমরা দেখেছি-সেখানে নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রুপিং চলছে। তদন্তকাজ বিতর্কিত করতে এবং ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতেই ষড়যন্ত্রকারীরা এমন করছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ছাত্রলীগকে এত সহজে কলঙ্কিত করা যাবে না। আমরা এর নিন্দা জানাই।
উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানার একটি অডিও এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় । বিষয়টি তদন্ত করতে রাজশাহী যান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক শেখ শামীম তূর্য, উপ-আইন সম্পাদক আপন দাস এবং সহসম্পাদক তানভীর আব্দুল্লাহ।