লাইফস্টাইল ডেস্ক : দেশের সড়কে চলাচলের সময় আমরা দুই ধরনের গাড়ির নম্বর প্লেট দেখতে পাই— একটি সাদা রঙের। এবং অল্প কিছু যানবাহনে দেখতে পাই হলুদ রঙের নম্বর প্লেট। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই রঙগুলো শুধু নান্দনিকতার জন্য নয়, বরং গাড়ির ব্যবহারবিধি ও মালিকানার ধরন বোঝাতেই এই রঙের তারতম্য করা হয়।
তাহলে প্রশ্ন হলো, কিছু গাড়ি ও মোটরসাইকেলে হলুদ রঙের নম্বর প্লেট থাকে কেন?
কেন ডিপ্লোম্যাটিক গাড়ির নম্বর প্লেট আলাদা?
বিশ্বব্যাপী রীতির অনুকরণে, বাংলাদেশেও বিদেশি দূতাবাস, হাইকমিশন, কনস্যুলেট ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনৈতিক সদস্যদের যানবাহনের জন্য বিশেষ রঙের নম্বর প্লেট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই আলাদা প্লেট ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য—
-পরিচিতি সহজ করা
-বিশেষ কূটনৈতিক সুবিধা প্রদান
-নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
হলুদ প্লেটের বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশে ডিপ্লোম্যাটদের গাড়ির নম্বর প্লেট সাধারণত হলুদ ব্যাকগ্রাউন্ডে কালো হরফে লেখা থাকে।
কাদের জন্য হলুদ প্লেট বরাদ্দ দেওয়া হয়?
-বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও তাদের প্রতিনিধি
-বিদেশি কনস্যুলেট অফিসের সদস্য
-জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার বাংলাদেশে কর্মরত কূটনীতিক
-তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি (সরকার অনুমোদিত)
সুবিধাদি
হলুদ প্লেটধারী কূটনীতিকদের যানবাহন কিছু বিশেষ সুবিধা ভোগ করে—
-বেশিরভাগ সময় ট্রাফিক আইনের কিছু ব্যতিক্রমী ছাড়
-কাস্টমস সুবিধা
-নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতা
-কিছু ক্ষেত্রে ট্যাক্স বা শুল্ক ছাড়
-সুরক্ষা ও কূটনৈতিক সম্মান
বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কূটনৈতিক যানবাহনের সুরক্ষা নিশ্চিত করে থাকে। তাই এসব গাড়ির চলাচলে নিরাপত্তা বাহিনী বাড়তি নজর দেয় এবং অনেক সময় তল্লাশি বা থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় না।
হলুদ রঙের নম্বর প্লেট শুধু একটি গাড়ির বাহ্যিক পরিচিতি নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মর্যাদা ও আইনি সুরক্ষার প্রতীক। এই ব্যবস্থা বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সম্মান এবং নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।