কিউইদের কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন ভারত – DesheBideshe

কিউইদের কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন ভারত – DesheBideshe

কিউইদের কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন ভারত – DesheBideshe

আবুধাবি, ০৯ মার্চ – আরও একবার বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হলো নিউজিল্যান্ডের। লড়াই করলেও শেষ হাসি হাসতে পারলো না কিউইরা। তাদেরকে কাঁদিয়ে ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।

এই আসরে খেলতে পাকিস্তান যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল রোহিত শর্মা।রা তাই বাধ্য হয়ে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে হয়েছে পিসিবিকে। যেখানে ভারতের জন্য ভেন্যু নির্ধারণ করা হয় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই ভেন্যুকেই ঘরের মাঠ বানিয়েছে তারা। টানা পাঁচ ম্যাচ একই মাঠে খেলার সুযোগ পেয়েছে ভারত, যে সুবিধা পায়নি আয়োজক পাকিস্তানও।

এবারের আসরে ভারতের ভ্রমণ যাত্রা শূন্য, কিন্তু আরেক ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ডের ভ্রমণ যাত্রা ৭০৪৮ কিলোমিটার। এ ছাড়াও ফাইনাল ম্যাচে ব্যবহার হওয়া পিচে আগে খেলার সুযোগও পেয়েছে রোহিতরা। তাই এবারের আসরের আয়োজক পাকিস্তানকে না বলে ভারতকে বললেও ভুল হবে না।

এই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেনি ম্যান ইন ব্লুরা। দাপট দেখিয়ে টুর্নামেন্টের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছে রোহিত-কোহলিরা।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৪৯ ওভার ১ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

কিউইদের দেওয়া মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় এশিয়ার দেশটি। পাওয়ারপ্লেতে ম্যাট হেনরির অনুপস্থিতি ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল। শুরু থেকেই স্বভাবজাত ঝোড়ো ব্যাটিং করেন রোহিত। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দারুণ সঙ্গ দেন গিল।

পাওয়ারপ্লে’র পরেও দেখেশুনেই খেলেছে ভারত। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দুই ওপেনার পার করেন শতরান। তবে ‘গ্লেন ফিলিপস ইফেক্ট’ এড়াতে পারেনি রোহিত শর্মারা। ১৯তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারের বল শর্ট এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে চিপ করতে চেয়েছিলেন গিল। তবে ফিলিপসকে ফাঁকি দেওয়া অসাধ্য প্রায় ব্যাপার। দুর্দান্ত এক ক্যাচে গিলকে সাজঘরে ফেরান এই ফিল্ডার।

গিলের বিদায়ের ২ বল পরেই আরেকটি ধাক্কা খায় ভারত। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বিরাট কোহলি। কিউইদের ক্রমবর্ধমান স্পিন চাপে দারুণ শুরু করা রোহিতও আর টিকতে পারেননি। ৩ ছক্কা আর ৭ চারে ৮৩ রান করা এই ব্যাটার ফেরেন সামনে এগিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে। রাচিন রবীন্দ্রের বলে তিনি যখন ফেরেন, তখন দলের সংগ্রহ ১২২ রান।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রায় প্রতিটি ম্যাচে দলের হাল ধরেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। ফাইনালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চাপের মুহূর্তে অক্ষরের সঙ্গে গড়েন ৬১ রানের জুটি। এই জুটিই মূলত লড়াইয়ে এগিয়ে দিয়েছে ভারতকে। কারণ ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার যখন ফেরেন তখন জয় থেকে কেবল ৬৯ রান দূরে ভারত।

এই অল্প রানেও ভালোই চাপ তৈরি করেছিল নিউজিল্যান্ড। ৪০ বলে ২৯ রান করে অক্ষর প্যাটেল যখন ফেরেন, তখন প্রতিযোগিতা জমে উঠেছিল আবার। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজা এবং লোকেশ রাহুলের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে সহজেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় ভারত।

সূত্র: ঢাকা টাইমস
এনএন/ ০৯ মার্চ ২০২৫



Scroll to Top