কাসেমিরোর দর্শনীয় গোলে নকআউটে ব্রাজিল

ঘড়ির কাটা বলছিল ম্যাচের সময়কাল ফুরিয়ে আসছে দ্রুত। তখন ৮৩ মিনিট চলে। একের পর এক আক্রমণ গড়েও মিলছিল না কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। এমন সময় সেলেসাওদের ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত কাসেমিরো। তার বাঁ-পায়ের জাদুতে হল লক্ষ্যভেদ। তাতে সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে আসরের দ্বিতীয় দল হিসেবে নকআউট পর্বে পা রাখল ব্রাজিলও।

Reneta June

জি গ্রুপে দুই ম্যাচ খেলে সবকটি জিতে টেবিল টপার ব্রাজিলের পয়েন্ট ৬। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সুইজারল্যান্ড। একটি করে পয়েন্ট পেয়ে গোল পার্থক্যে ক্যামেরুন তৃতীয় ও সার্বিয়া সবার নিচে আছে।

সোমবার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ম্যাচের প্রথমার্ধে দুদলের পাসিং ফুটবলের প্রদর্শনী মেলে। ১২ মিনিটে গোলের প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। লুকাস পাকুয়েতার ফ্লিকে বল পান আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা রিচার্লিসন। তিনি ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে কাটব্যাক করার পর আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন সুইস ডিফেন্ডার নিকো এলভেদি।

সাত মিনিট পর সেলেসাওদের সামনে আবারও গোলের সম্ভাবনা জাগে। প্রতিপক্ষের চার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ভিনিসিয়াসের পাসে বল পান পাকুয়েতা। তার ক্রসে গোলমুখে থাকা রিচার্লিসন অল্পের জন্য বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি।

খেলার ২৭ মিনিটে রাফিনহার ক্রসে বল নিয়ে ভিনিসিয়াসের ডান পায়ের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক ইয়ান সোমের। মিনিট চারেক পর রাফিনহার নেয়া বাঁ-পায়ের কিকে বল সরাসরি সোমেরের গ্লাভসবন্দি হয়।

পরে ৩৯ মিনিটে রিকার্দো রদ্রিগুয়েজের পাসে বল নেন রুবেন ভারগাস। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্কুইনহোসকে টার্ন করে কাটিয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকে ট্যাকল করেন থিয়াগো সিলভা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণের ধার বাড়াতে মিডফিল্ডার পাকুয়েতার পরিবর্তে স্ট্রাইকার রদ্রিগোকে মাঠে পাঠান কোচ টিটে। ৫৫ মিনিটে কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বলে হেড করেন রিকার্দো রদ্রিগুয়েজ। এরপর ম্যানুয়েল আকানজি হেডে বল জালে পাঠাতে না পারায় সুইসরা সুযোগ হারায়।

পরের মিনিটে ভিনিসিয়াসের বাড়িয়ে দেয়া বল গোলমুখে আবারও আসে রিচার্লিসনের সামনে। শেষ মুহূর্তে বলে পা লাগাতে না পারায় নিশানাভেদ হয়নি।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর ৬৪ মিনিটে ভিনিসিয়াস বল জালে জড়ালে আনন্দে ভাসে ব্রাজিল। কিন্তু ভিএআরে আসে অফসাইডের সিদ্ধান্ত। রিপ্লেতে দেখা যায় রিচার্লসন অফসাইড ছিলেন। ছয় মিনিট পর এডের মিলিতাওয়ের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ব্রাজিল পায় কাঙ্ক্ষিত গোলটি। রদ্রিগোর পাসে বল নিয়ে বাঁ-প্রান্ত থেকে ডান পায়ের কোণাকুণি শট নেন কাসেমিরো। চোখ ধাঁধানো গোলে লিড পেয়ে যায় টিটের দল। গোলরক্ষক সোমেরের জালে বল ঢোকার দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না।

পরে ৮৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। রদ্রিগোর শট লাফিয়ে ঠেকান সুইস গোলরক্ষক। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে রদ্রিগো আবারও সুযোগ পান। তার শট শেষ মুহূর্তে আকানজি ব্লক করায় এক গোলের জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।

Oikko Uddokta

Scroll to Top