শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ড্র করলেও আলো কেড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। গলে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন টাইগার অধিনায়ক। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সমালোচনা সঙ্গী থাকা তারকা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের কারণে প্রশংসায় ভাসছেন। অবশ্য কারো সমালোচনা কিংবা প্রশংসায় মনোযোগ নেই তার। বলেছেন, ‘কে আমাকে নিয়ে ভালো বলল, কে খারাপ, সেদিকে মনোযোগ দিই না।’
গলে আগে ব্যাটে নেমে প্রথম ইনিংসে ৪৯৫ রানে থামে বাংলাদেশ। জবাবে শ্রীলঙ্কা থামে ৪৮৫ রানে। ১০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ৬ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ২৯৬ রানের লক্ষ্যে নেমে শ্রীলঙ্কা ৪ উইকেট ৭২ রান করলে দুই দল ড্র মেনে নিয়ে খেলা শেষ করে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন শান্ত। সেখানে বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে প্রশ্ন এসেছিল সমালোচনা ও প্রশংসা প্রসঙ্গে। জবাবে বলেছেন, ‘সমালোচনা, কথাবার্তা এগুলো তো থাকবেই। একজন প্লেয়ার হিসেবে প্রতিদিন কীভাবে দলের জন্য অবদান রাখতে পারি এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার ওয়ার্ক এথিক্স ঠিক আছে কি না, কতটুকু কষ্ট করছি, ইনটেনশন ঠিক আছে কি না এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে চেষ্টা করেছি, দলে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে।’
সমালোচনা বা প্রশংসায় মনোযোগ দেন জানিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে গেলে কে আমাকে নিয়ে ভালো কথা বলল, কে খারাপ বলল সেদিকে ফোকাস না করে আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন আমি কীভাবে আরও ভালো করতে পারি। কোনোদিন হয় কোনোদিন হয় না। খেলাটাই এমন। কিন্তু আসলে কে অনেক বেশি অ্যাপ্রিশিয়েট করল বা কে করল না বা আমি আরেকটু বেশি কি ডিজার্ভ করি, না করি (এসব নিয়ে ভাবি না)।’
‘বেশি প্রত্যাশা না থাকাই ভালো। আমার ব্যাটিংটা আমি উপভোগ করছি কি না, দলের হয়ে অবদান রাখতে পারছি কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রশংসা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়, এ জায়গায় আসলে আমার বাড়তি কোনো চাওয়া নাই এবং আমি কোনো প্রত্যাশা রাখি না।’-যোগ করেন শান্ত।
গল টেস্টে ভালো করার কারণ জানিয়ে শান্ত বলেন, ‘এখানে আসার আগে ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। ব্যাটিংয়ে কিছু টেকনিক্যাল বিষয় বদলেছি। কারণ, আমি কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ নিয়ে জানতাম। আমার ওই পরিকল্পনাটা ছিল। আমি এটা এখন বলতে চাই, কারণ এখনো এক ম্যাচ বাকি। আমার ভালো পরিকল্পনা ছিল এই টেস্টের আগে। আমি খুবই পরিষ্কার ছিলাম কী করতে চাই।’