হাসপাতাল ও সিটি করপোরেশন সূত্রে পাওয়া খবর দিয়ে প্রকৃতপক্ষে ডেঙ্গুতে কতজন আক্রান্ত হয়েছেন, সে তথ্য পাওয়া যাবে না। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পরও অনেকে চিকিৎসকের কাছে যান না সচেতনতার অভাবে। আবার অনেকের সামর্থ্যই নেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার। এসব ক্ষেত্রে কেউ মারা গেলে হিসাবের বাইরেই থেকে যান।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রথম ও প্রধান কাজ হলো এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করা। বাড়ির কাছাকাছি কোথাও এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পানি জমতে দেওয়া যাবে না। এসি, ফুলের টব, ফ্রিজের নিচসহ বাসায় যেসব স্থানে পানি জমে থাকতে পারে, সেগুলো থেকে নিয়মিত পানি সরিয়ে ফেলতে হবে। পানি জমে থাকতে পারে, এমন জিনিস, যথা বালতি, খালি বোতল, মগ, পাতিল—এগুলো উল্টে রাখতে হবে। বাড়ির আশপাশ ও বারান্দা-করিডর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, প্রয়োজনে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো গেলে মশার উৎপাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
মশা মারার কাজ করার দায়িত্ব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার। কিন্তু এ মুহূর্তে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোয় নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। অন্তর্বর্তী সরকার প্রশাসক দিয়ে এসব সংস্থা পরিচালনা করছে, যাদের পক্ষে মশকনিধনসহ বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। ক্ষমতার পালাবদলের আগেই ঢাকার দুই মেয়র পলাতক। কাউন্সিলররাও নিষ্ক্রিয়। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বরখাস্ত করার পর এসব প্রতিষ্ঠান অনেকটাই অথর্ব। এ অবস্থায় সরকার স্থানীয় তরুণদের যুক্ত করে সমন্বিত কর্মসূচি নিতে পারে, যাতে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে।