পর্যটন–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০২ সালে রাঙামাটি শহরের কাছেই কাপ্তাই হ্রদের বুকে ‘পেদা টিং টিং’ নামের একটি রেস্তোরাঁ চালু হয়। রেস্তোরাঁটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ২০০৫ সালে রাঙামাটি-লংগদু-বরকল ও জুরাছড়ি নৌপথ ঘেঁষে কাউন্দ্যামূখ এলাকায় ‘চাং পাং’ নামে আরেকটি রেস্টুরেন্ট চালু হয়। এর পর থেকে পর্যায়ক্রমে রেস্তোরাঁ-রিসোর্ট গড়ে উঠতে শুরু করে। তবে গত সাত থেকে আট বছরের মধ্যে দ্বীপকেন্দ্রিক রিসোর্ট-রেস্তোরাঁ বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
রাঙামাটি বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ কাপ্তাই হ্রদ। এখন দিনভর ঘোরাঘুরি পর হ্রদের বুকে জেগে থাকা দ্বীপে রাত কাটাতে পেরে পর্যটকেরাও খুশি। দ্বীপের রিসোর্টের বাইরে হ্রদে রাত কাটানোর জন্য রয়েছে হাউসবোটও। দ্বীপের রিসোর্টগুলোতে রাখা হয়েছে তারকা মানের হোটেলের মতোই আরামদায়ক কক্ষ। পর্যটকদের জন্য থাকে বেম্বো চিকেন, বাঁশকোড়ল, কেবাংসহ রকমারি পাহাড়ি খাবারের ব্যবস্থা। কাপ্তাই হ্রদের তরতাজা মাছ তো আছেই। এ ছাড়া নানা বিনোদনের উপকরণ রয়েছে, যার কারণে পর্যটকেরাও ছুটে আসছেন।