দূর্নীতি করে হাজার হাজার টাকা কানাডায় পাচার করে বিপুল সম্পদের মালিক সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিম। জানা যায়, কানাডায় তার সম্পদের মধ্যে আছে বিলাসবহুল দুটি বাড়ি, একটি গ্যাস ষ্টেশন, একটি কনভিনিয়ান্ট ষ্টোর ও বেনামে প্রচুর সম্পত্তি। বিগত বছরগুলোতে তার এতো এতো দূর্নীতির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি) এর পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে নিয়োগ করেছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যোগদানের তারিখ থেকে তিন বছরের জন্য তাকে এ নিয়োগ প্রদান করা হয়। আব্দুল হালিমের এ নিয়োগে অবাক হয়েছেন তার সহকর্মী সিনিয়র-জুনিয়র অনেকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির উপর মহলের সাথে ভালো সম্পর্কের পুরষ্কার পান তিনি। নিয়োগ পান মন্ত্রী পরিষদ সচিব হিসাবে। তিনি ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসের ২৭ তারিখ নিয়োগ পান এবং ২০০৬ সালের আগস্ট মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত তিনি মন্ত্রী পরিষদের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। তাকে এই পদে নিয়োগ দিতে তৎকালীন বিএনপি সরকার মন্ত্রী পরিষদ সচিব নিয়োগে জ্যেষ্ঠতার নীতিমালা ভঙ্গ করে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিএনপির আমলের দূর্নীতির যে উৎসব শুরু হয়েছিল, সেই দূর্নীতির টাকার একটি অংশ পেতেন তিনি। আর এই দূর্নীতির হাজার হাজার কোটি টাকা অবলীলায় কানাডায় পাচার করে আব্দুল হালিম তৈরি করেছেন এতো এতো সম্পদ। তবে নিজেকে এসব থেকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রাখতে কোন সম্পদই নিজের নামে করেননি তিনি। সবই করেছেন আত্মীয় স্বজনদের নামে। তারাই এসব দেখা-শোনা করেন।
এ এস এম আব্দুল হালিম ১৯৪৮ সালের ১ জানুয়ারি জামালপুর জেলার ইসলামপুরে জন্মগ্রহন করেন। মন্ত্রী পরিষদ সচিবের দায়িত্ব থেকে অবসরের পর তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হন এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ লাভ করেন। এ এস এম আব্দুল হালিমের স্ত্রী একজন আইনজীবী।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করেন আব্দুল হালিম।