নয়াদিল্লি, ০৪ মার্চ – ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে,কাউকে ‘মিয়ান-তিয়ান’ বা ‘পাকিস্তানি’ বলা অশোভন হতে পারে। তবে এটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মতো অপরাধ নয়। মঙ্গলবার (৪ মার্চ)বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ এই মন্তব্য করেছেন। এসময় একজন সরকারি কর্মচারীকে ‘পাকিস্তানি’ বলার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
এই অভিযোগটি ঝাড়খণ্ডের এক উর্দু অনুবাদক ও অস্থায়ী কেরানি দায়ের করেছিলেন। অভিযোগকারী জানান, তিনি যখন তথ্যের অধিকার (আরটিআই) আবেদনের বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করতে অভিযুক্তের কাছে যান, তখন অভিযুক্ত ব্যক্তি ধর্মীয় প্রসঙ্গ টেনে তাকে গালি দেন এবং তার সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেন।
এর ফলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৮ (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত), ৫০৪ (শান্তিভঙ্গের উদ্দেশ্যে অপমান) এবং ৩৫৩ (সরকারি কর্মচারীকে তার দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার জন্য হামলা বা বলপ্রয়োগ) ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়।
তবে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগকারীকে ‘মিয়ান-তিয়ান’ ও ‘পাকিস্তানি’ বলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। নিঃসন্দেহে, এই মন্তব্যগুলো অশোভন। তবে এটি অভিযোগকারীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অপরাধ নয়।’
শীর্ষ আদালত আরও জানায় যে অভিযুক্তের কোনও কার্যকলাপ শান্তিভঙ্গের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনও প্রমাণ নেই।
আদালত জানায়, স্পষ্টতই, অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনও হামলা বা বলপ্রয়োগ করেননি, যা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারার (সরকারি কর্মচারীকে তার দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার জন্য হামলা বা বলপ্রয়োগ) শর্ত পূরণ করে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
আইএ/ ০৪ মার্চ ২০২৫