রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কম্বোডিয়া। সোমবার (২৫ আগস্ট) দেশটির পার্লামেন্ট এ আইন পাস করে।
বিশ্লেষকরা এটিকে বিরোধীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলা ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টির অব্যাহত দমন-পীড়নের মধ্যে একটি নতুন পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
সিপিপি-নিয়ন্ত্রিত জাতীয় পরিষদের ১২৫ জন সদস্যের মধ্যে ১২০ জনের অনুমোদিত এই বিলটি রাষ্ট্রকে ‘বিদেশি দেশের সঙ্গে ষড়যন্ত্র বা কম্বোডিয়ার স্বার্থের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে অভিযুক্ত যে কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করার অনুমতি দেবে।
সুপ্রিম কোর্ট ২০১৭ সালে কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টি নিষিদ্ধ করার পর বিরোধীদের দমন করার তীব্র প্রচেষ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কম্বোডিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন।
কম্বোডিয়ায় তখন থেকে ১০০ জনেরও বেশি বিরোধী নেতাকে নিয়ে গণবিচার অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাদের অনেককেই অনুপস্থিত অবস্থায় রাষ্ট্রদ্রোহ এবং উস্কানির অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিরোধী দলের অবশিষ্টাংশের ওপর দমন পীড়নের জন্য কর্মী এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো সিপিপির ব্যাপক নিন্দা জানিয়েছে। নতুন আইনটি গত দুটি নির্বাচনকে কার্যত ‘একপক্ষীয় নির্বাচন’ হিসেবে নিশ্চিত করেছে।
বিরোধীদের অভিযোগগুলো অস্বীকার করে সরকার বলেছে, ‘যারা কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে, তারা আইন ভঙ্গকারী।’
গত জুনে কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী দীর্ঘদিনের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং সিপিপি প্রেসিডেন্ট হুন সেন বলেছিলেন, ‘কম্বোডিয়ার উচিত বিদেশি রাষ্ট্রের পক্ষ নেওয়া নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’