<![CDATA[
কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি। এতে কমেছে ভাঙনের মাত্রাও। তবে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে এখনও ভাঙন অব্যাহত থাকায় প্রাথমিকভাবে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। এদিকে, লালমনিরহাটে বন্যার পানিতে কমপক্ষে এক হাজার হেক্টর রোপা আমন ধানের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় দুশ্চিন্তায় চাষিরা।
তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও দুর্ভোগ কমেনি লালমনিরহাটের ১৫টি ইউনিয়নের মানুষের। বিশেষ করে, নদীতীরবর্তী এলাকা চর-দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। এখনো ডুবে আছে এক হাজার হেক্টর রোপা আমন ধানের ক্ষেত। চলতি মৌসুমের ধানের চাষাবাদ নিয়ে তাই দুশ্চিন্তায় কৃষক।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, পানি কমতে শুরু করেছে। তবে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, বন্য স্থায়ী হলে কবলিতদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ৩৩ নদী পরিণত মরা খালে
এদিকে, কুড়িগ্রামের বজরা, গতিয়াসাম ও খিতাবখা এলাকায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত তিস্তার ভাঙন এখনও অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে সেখানকার মাদ্রাসা, স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিক, আধা কিলোমিটার পাকা সড়ক ও চার শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া, রাজারহাটের গতিয়াসাম ও খিতাবখাঁ এলাকার কয়েকশ বাড়ি ও আধা কিলোমিটার পাকা সড়ক বিলীন হয়েছে।
ভাঙনের মুখে থাকা চরের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে রক্ষার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বিদ্যালয়টি রক্ষার দাবি স্থানীয়দের।
ভাঙনের মুখে থাকা গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে এখন জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
]]>