পরিবারের সদস্যরা জানান, স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে গৃহবধূর সংসার। স্বামী দিনে চা বিক্রি করেন। রাতে নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করেন। ঈদের দিন সন্ধ্যার পর পাহারা দিতে যথারীতি স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে যান। রাত ১০টার পর গৃহবধূ তাঁর তিন ও আট বছর বয়সী দুই সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। গৃহবধূর ঘরের ভিটে পাকা হলেও বেড়া ও চাল টিনের। রাত পৌনে দুইটার দিকে জানালা কেটে ডাকাতেরা ঘর থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যান। যাওয়ার আগে অস্ত্রের মুখে গৃহবধূকে জিম্মি করে একজন ধর্ষণ করেন।
গৃহবধূর স্বামী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডাকাতেরা রাত তিনটার মধ্যে চলে যায়। ভোর ছয়টায় আমি বাড়িতে ফিরলে স্ত্রীর কাছ থেকে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা জানতে পারি।’
গৃহবধূ জানান, ডাকাত দলে পাঁচ থেকে ছয়জন ছিলেন। তাঁদের একজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে পরে এসে প্রাণে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দিয়ে যান। এ কারণে মনে ভয় জাগে। এ জন্য ডাকাত দলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু জানাননি। ভোরে স্বামী ফিরলে তাঁকে ঘটনা জানান।