এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। এতে করে জমজমাট হয়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন পর্যটনের স্পটে। তাদের নিরাপত্তাই নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
বুধবার (২ এপ্রিল) পর্যটন স্পটঘুরে দেখা যাচ্ছে, পর্যটক হয়রানি রোধে টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের টিম কাজ করছে।
এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদের টানা ছুটি। আর এই ছুটিতে গরম উপেক্ষা করে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারের ছুটে আসছেন পর্যটকরা। ঈদের পরদিন থেকে কক্সবাজারে আসতে শুরু করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটকরা। প্রতিদিন বাড়তে থাকে পর্যটকের সংখ্যা। পর্যটকদের আগমনে খুশি এখানকার ব্যবসায়ীরা।
খুলনা থেকে আসা পর্যটক রহিম আফরোজ বলেন, ঈদের পরদিন পরিবার নিয়ে এসেছেন কক্সবাজার। গরম হলেও অনেক আনন্দ পাচ্ছেন এখানে।
সুনামগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক রবীন্দ্র ভৌমিক বলেন, এখন ছুটি পেয়েছি তাই পরিবার নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে আসলাম। এখানকার পরিবেশ অনেক ভালো।
পিরোজপুর থেকে আসা পর্যটক রুমন রহমান বলেন, পুরো এক বছর পর কক্সবাজার আসলাম পরিবার নিয়ে। তবে হোটেল ভাড়া একটু বেশি করে মনে হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ঈদের পরদিন থেকে আবার জমে উঠেছে কক্সবাজারের পর্যটন। আমাদের সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল গেস্ট হাউস বুকিং হয়ে গেছে ঈদের আগে। রমজান এক মাসে আমরা ব্যবসা করতে না পারলেও এখন আশা করি ভালো ব্যবসা হবে।
টোর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ কক্সবাজারের সাবেক সভাপতি এস এম কিবরিয়া বলেন, এখন তারা অনেক বুকিং পাচ্ছেন। জমে উঠছে কক্সবাজারের পর্যটন।
সৈকত এলাকার ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন দুলাল বলেন, সমুদ্র সৈকতের আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো জমে উঠতে শুরু করেছে। রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছে আশা করি এখন তা পুসিয়ে নিতে পারবে।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজয়নের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পর্যটকরা যেসব স্থানে যাচ্ছে সেখানেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সমুদ্র সৈকতকে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে।
এছাড়াও হারিয়ে যাওয়া শিশুদের উদ্ধারে শিশু উদ্ধার টিম করা হয়েছে। ঈদের পর থেকে এপর্যন্ত ১২ জন শিশুকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, কক্সবাজার আগত পর্যটকরা কোনপ্রকার যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তিনটি টিম সার্বক্ষণিক সমুদ্র সৈকত ও আশপাশের এলাকায় কাজ করছে। কোন প্রকার অভিযোগ পাওয়া গেলে সাথে সাথে তারা সেখানে গিয়ে কাজ করছে।