গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত টেকনাফ-উখিয়ার নাফ নদীর অন্তত ৩৪ কিলোমিটার ঘুরে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। এ সময় নাফ নদীতে মাছ ধরার নৌকা চোখে পড়েনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, রাত ১০টার পর নাফ নদীতে টহল সীমিত হয়ে পড়লে নৌকা নিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। ওই সময় চোরাকারবারিরাও সক্রিয় হয়।
তবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বেশি হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের চারটি পয়েন্ট, উখিয়ার পালংখালীর পাঁচটি এবং টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও সাবরাং ইউনিয়নের ১৩টিসহ মোট ২২টি পয়েন্ট দিয়ে। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের অনেকে টেকনাফ ও উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অবস্থান নিলেও অনেকে বিভিন্ন গ্রামে লোকজনের বাসাবাড়িতে আত্মগোপন করেছেন। এমনকি ট্রলারে করে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে কক্সবাজার, মহেশখালী, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী ও পতেঙ্গা এলাকায় পাড়ি জমাচ্ছেন অনেক রোহিঙ্গা। গত শনিবার পতেঙ্গা সৈকতের মুসলিমাবাদ বেড়িবাঁধ থেকে অনুপ্রবেশকারী ৩৫ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে র্যাব।
র্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক এ আর এম মোজাফফর হোসেন বলেন, মিয়ানমার থেকে ট্রলারে করে রোহিঙ্গারা পতেঙ্গা ঘাটে নামেন। আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী-শিশুও রয়েছে।