ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার হারে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপার দৌড় উন্মুক্ত হয়ে গেল। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে আছে এবং ২০২৩ এর ফাইনালে তাদের দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা গাঢ় হলো। এছাড়া আরও ৫ দলের যে কেউ ফাইনালে যেতে পারে।
১. অস্ট্রেলিয়াঃ ৭০ ভাগ সম্ভাব্য পয়েন্ট-
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ টেস্টের হোম সিরিজ, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩ টেস্টের হোম সিরিজ, ভারতের বিপক্ষে ৪ টেস্টের অ্যাওয়ে সিরিজ বাকি আছে।
পোল অবস্থানে অজিদের ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ২টি হোম সিরিজ আছে, যেখানে তাদের জেতার সম্ভাবনা বেশি। তবে ভারতের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ আছে, যা পরের বছর হবে। ২০০৪ সালের বিপক্ষে অজিরা ভারতে গিয়ে জিততে পারছে না। ফাইনালে যেতে হলে তাদের সেখানে নিজেদের পরাজয় রুখতে হবে।
২. দক্ষিণ আফ্রিকাঃ ৬০ ভাগ সম্ভাব্য পয়েন্ট-
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ টেস্টের অ্যাওয়ে সিরিজ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ টেস্টের হোম সিরিজ বাকি আছে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২য় অবস্থানে নেমে গেছে প্রোটিয়ারা। যদিও পরের বছর ফাইনালের জন্য তাদের অবস্থান এখনও শক্ত আছে।
অজিদের বিপক্ষে তাদের অ্যাওয়ে সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া পরের বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোমে ২ টেস্ট জিতে নিজেদের ফাইনালের উপযোগী করে তুলতে পারে তারা।
৩. শ্রীলঙ্কাঃ ৫৩.৩৩ ভাগ সম্ভাব্য পয়েন্ট-
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্টের অ্যাওয়ে সিরিজ বাকি আছে।
ফাইনালে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে শ্রীলঙ্কারও। একটি মাত্র সিরিজ বাকি তাদের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্টের অ্যাওয়ে সিরিজ। ১৯ বারের চেষ্টা মাত্র ২ বার তারা জিতেছিল সেখানে। সেখানে তারা জিতলে ৬১.১% সম্ভাব্য পয়েন্ট হবে। তবে প্রথম দুই দলের হারের দিকে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে।
৪. ভারতঃ ৫২.০৮ ভাগ সম্ভাব্য পয়েন্ট-
বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ টেস্টের অ্যাওয়ে সিরিজ, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ টেস্টের হোম সিরিজ বাকি আছে।
বাংলাদেশের মাটিতে রোহিত শর্মার দল ২ টেস্ট খেলবে, যেখানে তাদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া অজিদের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে ৪ টেস্ট খেলবে তারা। হোম ভেন্যুতে অজিদের বিপক্ষে বেশ ভালো করে আসছে ভারত। এ দুই সিরিজ জিতলে গতবারের মত এবারও তাদের ফাইনালে দেখা যেতে পারে। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হতে পারে যদি দুইটি দলই নিজেদের সেরাটা খেলে সিরিজগুলো জিততে পারে।
৫. পাকিস্তানঃ ৫১.৮৫ ভাগ সম্ভাব্য পয়েন্ট-
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ টেস্টের হোম সিরিজ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্টের হোম সিরিজ বাকি আছে।
পাকিস্তান ৫ম অবস্থানে তারা তাদের শেষ ৫টি টেস্ট খেলবে নিজেদের মাটিতে। যদি তারা সব ম্যাচ জিততে পারে, তবে তাদের সম্ভাব্য পয়েন্ট হবে ৬৯.০৫, যা তাদেরকে প্রথমবারের মত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিয়ে যেতে পারে।
৬. ওয়েস্ট ইন্ডিজঃ ৫০ ভাগ সম্ভাব্য পয়েন্ট-
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ টেস্টের ২টি করে অ্যাওয়ে সিরিজ বাকি আছে তাদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি ফাইনালে যেতে চায়, তবে তাদের বাকি ৪ টেস্ট জিততেই হবে। তাহলে তাদের সম্ভাব্য পয়েন্ট হবে ৬৫.৩৮%। ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় তাদের একধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
৭. ইংল্যান্ডঃ ৩৮.৬ ভাগ সম্ভাব্য পয়েন্ট-
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ টেস্টের হোম সিরিজ বাকি আছে তাদের।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দুরন্ত ফর্মে থাকলেও বড্ড দেরি করে ফেলেছে ইংলিশরা। একসময় তলানির দল ছিল তারা। অ্যাশেজে ভরাডুবি খায়। তবে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষ্র টেস্ট সিরিজ জিতে ফর্মে ফিরেছে তারা। তবে তাদেরকে এখন পরেরবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
৮. নিউজিল্যান্ডঃ ২৫.৯৩ ভাগ সম্ভাব্য পয়েন্ট-
পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ টেস্টের অ্যাওয়ে সিরিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ টেস্টের হোম সিরিজ বাকি আছে।
প্রথমবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী দলের এবার ভরাডুবি অবস্থা। বাংলাদেশের বিপক্ষে হোম সিরিজে ড্র করে নিজেদের খারাপ পরিণতি শুরু তারা। রস টেইলরের অবসর ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের কনুইয়ের ইনজুরি দলেও প্রভাব পড়েছে।
৯. বাংলাদেশঃ ১৩.৩৩ ভাগ সম্ভাব্য পয়েন্ট-
ভারতের বিপক্ষে ২ টেস্টের হোম সিরিজ বাকি আছে।
ওয়ানডেতে ভালো করলেও টেস্টে বরাবরই খাবি খাচ্ছে বাংলাদেশ। তাদের ব্যাটিংয়ের দুরবস্থাই দলের এমন পরিণতি। ২ জন ব্যাটসম্যান শুধু রানের মধ্যে আছেন। লিটন দাস (৮৮৩ রান, ৪৯.০৫ গড়) ও মুশফিকুর রহিম (৫৩৯ রান, ৪৯.০০ গড়)।
মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তারা চমকে দিয়েছিল।
এ বছর শেষের দিকে ভারতের বিপক্ষে ২ টেস্টের হোম সিরিজ বাকি আছে তাদের।