‘এয়ারলাইন্স জিএসএ ফোরাম অব বাংলাদেশ’র যাত্রা শুরু | চ্যানেল আই অনলাইন

‘এয়ারলাইন্স জিএসএ ফোরাম অব বাংলাদেশ’র যাত্রা শুরু | চ্যানেল আই অনলাইন

যাত্রা শুরু হলো ‘এয়ারলাইন্স জিএসএ ফোরাম অব বাংলাদেশ’ নামে নতুন একটি সংগঠনের।

ঢাকায় শেরাটন হোটেলে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর স্থানীয় বিক্রয়প্রতিনিধি, জেনারেল সেলস এজেন্টদের সংগঠনটির লোগো উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।

বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০ টিরও বেশি বিদেশী এয়ারলাইন্স তাদের জিএসএদের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছে। প্রাথমিকভাবে ফোরামের সদস্য হয়েছেন ২৮টি জিএসএ কোম্পানি যারা ৫০ টির বেশী বিদেশী এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিত্ব করছে। ফোরামের উদ্যোক্তারা আশা প্রকাশ করছেন বাকি জিএসএ কোম্পানিরাও দ্রুত সদস্যপদ গ্রহণ করবেন।

স্বাগত বক্তব্যে জিএসএ ফোরামের আহ্বায়ক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন বিদেশী এয়ারলাইন্স সমূহকে বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে উৎসাহী ও উদ্যোগী হবার জন্য জিএসএ প্রতিষ্ঠানদের অগ্রণী ও নিবিড় ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতকে এগিয়ে নিতে এবং বাংলাদেশকে একটি এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগকে সফল করতে এই ফোরাম সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত।

এয়ারলাইন্স জিএসএ ফোরাম অব বাংলাদেশ গঠনের উদ্দেশ্যে লক্ষ্য হল-

* বাংলাদেশে কার্যরত জিএসএ কোম্পানী সমূহ এবং সংশ্লিষ্ট এভিয়েশন শিল্পের স্বার্থে এয়ারলাইন্স জিএসএদের প্রতিনিধিত্বেরজন্য একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করা।

* ন্যায্য ও অগ্রসরমান বিমান চলাচল নীতিমালার পক্ষে সরকারি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকা।

* প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালার মাধ্যমে জিএসএ এবং এভিয়েশন পেশাজীবীদের জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।

* আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও এয়ারলাইনের কাছে বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় এভিয়েশন হাব হিসেবে উপস্থাপন করা।

* বাংলাদেশের বিমান পরিবহন খাতের উন্নয়নে সরকার কর্তৃক গৃহীতবিভিন্ন উদ্যোগে সহায়তা প্রদান করা।

জিএসএ’রা কী সেবা দেয়?

* এয়ারলাইনের নির্দেশনা অনুযায়ী এয়ারলাইন্স সেবার পণ্যের বিক্রয় ও বিতরণ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা প্রদান।

*  এয়ারলাইনের নির্দেশিকা, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর এবং শর্তাবলি অনুসারে টিকিটিং, রিজার্ভেশন ও গ্রাহক সহায়তা প্রদান।

*  এয়ারলাইনের পক্ষে এই ব্যবসার অংশীজন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের সাথে কার্যকর যোগাযোগ ও সম্পৃক্ততা বজায় রাখা।

*  আর্থিক ও রেগুলেটরি প্রতিবেদন প্রস্তুতকরণ, দাখিল এবংএয়ারলাইন্সের আয় বৈদেশিক মুদ্রায় প্রেরণে সহায়তা প্রদান।

*  বিমানবন্দরে যাত্রী পরিচালনা কার্যক্রম এবং কার্গো পরিচালনায়সহায়তা প্রদান।

*  স্থানীয় আইন ও বিধিবিধান মেনে চলার ক্ষেত্রে বিদেশি এয়ারলাইনসমূহকে সহায়তা করা।

Scroll to Top