ঢাকা, ১৩ এপ্রিল – সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম নিয়েছে। অপরাধে জড়িত থাকলে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে তাকে কেন বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিতর্কিত প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন বা প্রতিরোধমূলক আটক করা হলো, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এমন আলোচনার মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের সঙ্গে মেঘনার সম্পর্কের বিষয়টি সামনে এসেছে। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তার বাবা বদরুল আলম।
তিনি দাবি করেন, সদ্য বিদায়ী সৌদির সেই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার মেয়ের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি জানতেন। তাদের মধ্যে বাগদানও হয়েছিল। রাষ্ট্রদূত ঈসা আমাদের বাসায় আসার জন্য তারিখ নির্ধারণ করলেও তিনি আসেননি।
বদরুল আলম বলেন, রাষ্ট্রদূত ঈসা বাংলাদেশ থেকে চলে গেছে। তার অন্যায়ের বিচার হলো না, কিন্তু আমার মেয়েকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলো। তাকে যে প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি সঠিক নয়। এ ছাড়া মেঘনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোও সঠিক নয়। আমার মেয়ে নিরপরাধ, তার মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মেঘনার ব্যাপারে কিছু অভিযোগ আছে। সেসব বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে। তবে, তার গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি। তার ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, মেঘনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানো, আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ও দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল রাতে মডেল মেঘনাকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরপর ১১ এপ্রিল আদালত তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন।
এদিকে মেঘনার আটকাদেশ কেন অবৈধ হবে না? তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সূত্র: আরটিভি নিউজ
এনএন/ ১৩ এপ্রিল ২০২৫