এসব বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, ‘মিসিং পারসনদের ফ্যামিলি মেম্বাররা একাধিকবার আমাদের কাছে এসেছিলেন। তাঁদের আবেদন মার্ক করে জেলা পুলিশকে কাজ করতে বলেছি। পুলিশ কোনো অগ্রগতি জানায়নি।’
নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম। তিনি বলেন, প্রশাসনের করা তালিকা ধরে পুলিশ নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে কাজ করছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরের সর্বশেষ লোকেশন এবং নম্বরটি কোথাও সচল আছে কি না, এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং সশরীর তদন্ত করছেন। কিন্তু নিখোঁজ তালিকায় থাকা কাউকেই এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি।
সম্প্রতি গাজী টায়ার্সের কারখানাটিতে গেলে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যায়নি। তবে বাইরে থেকে অগ্নিকাণ্ডের ছাপ নিয়ে আগের মতোই ভবনটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে গাজী গ্রুপের এক শীর্ষ কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘প্রথম দফায় টানা অন্তত সাত দিন কারখানাটিতে লুটপাট চললেও প্রশাসনিক বা আইনগত কোনো সহায়তা পাননি তাঁরা। মালিক কারাগারে থাকায় কারখানাও চালু করা যাচ্ছে না।’