এক নারীকেই বিয়ে করলেন আপন দুই ভাই | চ্যানেল আই অনলাইন

এক নারীকেই বিয়ে করলেন আপন দুই ভাই | চ্যানেল আই অনলাইন

এক নারীকেই আপন দুই ভাই বিয়ে করেছেন। ভারতের হিমাচল প্রদেশে সিরমৌর জেলার ট্রান্স-গিরি অঞ্চলের শিলাই গ্রামে এ বিয়ে হয়। গত ১২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই বিয়ের অনুষ্ঠানটি তিন দিন ধরে প্রাণবন্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নৃত্য, স্থানীয় লোকসঙ্গীত এবং একটি সাম্প্রদায়িক উদযাপনের স্বতন্ত্র পরিবেশনা পরিবেশিত হয়।

শনিবার (৯ আগস্ট) এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

শিলাইয়ের থিন্দো পরিবারের আপন দুই ভাই প্রদীপ নেগী ও কপিল নেগী। তারা ঐতিহ্যবাহী বহুপতি প্রথা, ‘জোদিদার প্রথা’ অনুসারে কুনহাট গ্রামের সুনীতা চৌহানকে বিয়ে করেছেন। তারা ব্যাখ্যা করেছেন, এই সিদ্ধান্তটি ‘জোদিদার’ এর তাৎপর্যকে তুলে ধরে, যা ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বহুপতিত্বের জন্য আঞ্চলিক শব্দ এবং ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বাইরে।

তারা সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন, জনসাধারণের সমালোচনা তাদের ওপর কোন প্রভাব ফেলেনি। হাট্টি বংশের শতাব্দীর প্রাচীন ঐতিহ্য অনুযায়ী বিয়ে করে তারা গর্বিত।

ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে প্রদীপ নেগি বলেছেন, ‘ঐতিহ্যটি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অনুসরণ করা হয়েছে এবং অব্যাহত থাকবে। কিছু লোক সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের গালি দিচ্ছে তাতে আমার কিছু যায় আসে না।’

তিনি আরও বলেন, “জোদিদার প্রথা” কেবল তাদের অঞ্চলের জন্যই প্রযোজ্য ছিল না; এটি উত্তরাখণ্ডের জৌনসার-বাওয়ারে বিদ্যমান, যেখানে উভয় বর একই মহিলার সাথে এই ধরনের বিয়েতে মালা বিনিময় করে।

তার ভাই কপিল নেগি বলেছেন, অন্যান্য জায়গায় জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়। সে তুলনায় তাদের বিয়ে স্বেচ্ছায় হয়েছে। তাদের স্ত্রী উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং তাদের পরিবার এ বিয়ের পক্ষেই ছিল। তিনি আরও বলেন, আমরা শিরোনাম হওয়ার জন্য বিয়ে করিনি।

প্রদীপ বলেন, এই বিয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য হল একসাথে থাকা এবং একে অপরকে ভালোবাসা। অন্যদের সমালোচনা না করার অনুরোধ জানিয়ে তারা বলেছেন, তাদের নিজস্ব জীবন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট।

এই সম্প্রদায় বহু প্রাচীন এই রীতি দীর্ঘদিন ধরেই অনুসরণ হয়ে আসছে। কারণ এটি পৈতৃক জমি ভাগাভাগি রোধ করতে সক্ষম, যা উচ্চভূমির কৃষক সম্প্রদায়ের জন্য একটি প্রধান সমস্যা। এই ধরনের বিয়েতে জন্ম নেওয়া সন্তানদের মধ্যে বড় ভাইকে প্রায়শই বৈধ পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

Scroll to Top