এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে রাশিয়া ও সিরিয়ার বিমান বাহিনীর যৌথ হামলায় ২৫ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও কয়েকজন।
সোমবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার সরকার ও রাশিয়ার বিমান হামলায় উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে। সোমবার ভোরে হোয়াইট হেলমেট নামে পরিচিত সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠী চালিত রেসকিউ সার্ভিস জানিয়েছে।
এর আগে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের বিরুদ্ধে আবারও বড় ধরনের আক্রমণ শুরু করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে হায়াত তাহরির-আল-শাম (এইচটিএস) নামের একটি সশস্ত্র দল।
জানা যায়, শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) অনেকটা আকস্মিকভাবে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ শহর আলেপ্পো দখল করে বিদ্রোহীরা। বর্তমানে শহরটি তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। বিদ্রোহীদের হামলায় টিকতে না পেরে সিরিয়ার সেনারা সেখান থেকে সরে আসে। তবে আলেপ্পো এবং ইদলিবে বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া এবং সিরিয়ার বিমানবাহিনী।
হায়াত তাহরির আল শাম
হায়াত তাহরির আল শাম সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ২০১১ সালে ‘জাবহাত আল নুসরা’ নামে আল কায়েদার সরাসরি একটি সহযোগী সংস্থা হিসেবে গঠিত হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নেতা আবু বকর আল বাগদাদিও এই দলটির গঠনে ভূমিকা রেখেছিলেন। শুরুর দিকে সশস্ত্র দলটি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ও ভয়ানক গোষ্ঠীগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। জিহাদি আদর্শই তাদের মূল চালিকাশক্তি ছিল। ফলে ‘ফ্রি সিরিয়া’ নামে বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহী জোটের যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেই জোটের সঙ্গে হায়াত ‘জাবহাত আল নুসরা’ গোষ্ঠীর কিছুটা মতপার্থক্য ছিল।
২০১৬ সালে জাবহাত আল-নুসরা গোষ্ঠীর নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জাওলানি আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে নতুন একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনই পরে ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় গত চার বছর ধরে যুদ্ধ কার্যত স্থবির হয়ে ছিল। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দেশটির বড় শহরগুলোয় নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। তবে দেশের কিছু অঞ্চল এখনও তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।