উপসচিব পদে কোনো কোটা মানা হবে না – DesheBideshe

উপসচিব পদে কোনো কোটা মানা হবে না – DesheBideshe

উপসচিব পদে কোনো কোটা মানা হবে না – DesheBideshe

ঢাকা, ০৮ ফেব্রুয়ারি – জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ ভাগ এবং বাকি ২৫ ক্যাডারের জন্য ৫০ ভাগ দিয়ে হাস্যকর ও অযৌক্তিক প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক শওকত হোসেন মোল্লা বলেন, উপসচিব পদে কোনো কোটা মেনে নেওয়া হবে না। কমিশনের এ প্রস্তাব সংশোধন করে শতভাগ সব ক্যাডারের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। ২০২৪ সালে আমাদের বীর ছাত্ররা চাকরিতে প্রবেশকালের যে ৫৬% ‘কোটা বৈষম্য’ দূর করতে তাদের বুকের রক্ত ঝরালো তারাই যখন চাকরিতে প্রবেশের পর বৈষম্যমূলক কোটার সম্মুখীন হবে তখন তাদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে। আমরা সেটা হতে দেব না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিটি সেক্টরের নীতি নির্ধারণ ও পরিকল্পনা-প্রণয়ন করেন উপসচিব থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তারা। আমাদের দেশের সব সেক্টরে অনভিজ্ঞ, অদক্ষ ও অপেশাদারদের হাতে থাকায় দেশের প্রতিটি সেক্টরে অনগ্ররসরতা সুস্পষ্ট। এ কারণে আমরা উপসচিব পদে কোটা বাতিল করে সব ক্যাডারের মধ্যে পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে শতভাগ নিয়োগের দাবি করেছি। যেন অভিজ্ঞদের দ্বারা জনসেবা নিশ্চিত করা যায়।

শওকত হোসেন মোল্লা আরও বলেন, বিসিএস ২৫টি ক্যাডার কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশ করায় ঢালাওভাবে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম চলছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়া সামান্য অজুহাতে এ ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি করা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা মৌলিক অধিকার ও চাকরিবিধি পরিপন্থি।

এমতাবস্থায় আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে এসব অন্যায় বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদভুক্ত সব ক্যাডার কর্মকর্তারা কর্মবিরতিসহ ধারাবাহিক কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।

তিনি বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে সব ক্যাডারের নামের সঙ্গে ক্যাডার শব্দটির পরিবর্তে সার্ভিস শব্দটি ব্যবহার করা হলেও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস শব্দটি ব্যবহার করে প্রশাসন ক্যাডারকে আরও বেশি ক্ষমতাধর করার চেষ্টা করা হয়েছে। সব ক্যাডারেই অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পদ রয়েছে। সুতরাং কোনো ক্যাডারের নামের সাথে ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ’ শব্দ রাখা অযৌক্তিক, অপ্রয়োজনীয়, বিভ্রান্তিকর ও আপত্তিকর। বিপত্তি এড়াতে বিসিএস অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের পরিবর্তে বিসিএস ভূমি সার্ভিস নামকরণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত ক্যাডারের কর্মকর্তা জামিলুর রহমান, স্বাস্থ্য ক্যাডারের মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন, প্রাণিসম্পদ ক্যাডারের মুহাম্মদ আহসান হাবিব, কৃষি ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. মমিনুল হক ও ফাতেহা নূর প্রমুখ।

সূত্র:জাগো নিউজ
এনএন/ ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫



Scroll to Top