সম্প্রতি শেষ হয়েছে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ। প্রথম টেস্ট জয় লাভ করে ভারত। দ্বিতীয় টেস্ট বৃষ্টির কারণে ড্রয়ের মুখ দেখে, ফলে ১-০ তে সিরিজ জিতে নেয় সফরকারীরা। সিরিজে কিছু পারফরম্যান্স আশাবাদী করেছে ভারতীয় দলকে। পাশাপাশি কিছু পারফর্ম ছিল হতাশ করার মতো। এরমধ্যে শুবমান গিল ছিলেন হতাশাজনক।
দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় ভারত-উইন্ডিজ সিরিজের শেষ টেস্ট হয়েছে ড্র। আগের টেস্ট ভারত জিতে নিয়েছিল আধিপত্য দেখিয়ে। সিরিজে ভারতের পক্ষ থেকে অভিষিক্ত ইয়াশভি জাইসাওয়াল, রোহিত শর্মা, ভিরাট কোহলির পক্ষ থেকে এসেছে সেঞ্চুরি। বোলিংয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মোহাম্মদ সিরাজ রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা।
তবে একজনকে নিয়ে আশা রাখছেন দর্শকেরা প্রতিনিয়ত। সে আশার প্রতিদান তিনি সেভাবে দিতে পারছেননা। নামটি শুবমান গিল। এবছরের আইপিএলে যিনি ‘ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট’ হয়েছেন, সংগ্রহ করেছেন সবচেয়ে বেশি রান। গত জুনে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দারুণ কিছু করবেন, এমন আশা ছিল। তবে করতে পারেননি তেমন কিছুই।
এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নিজের ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করে খেলেছেন। জাইসাওয়াল খেলছেন ওপেনিং স্লটে, ফলে গিল নেমে গেছেন ৩ নম্বরে। সিরিজ শুরুর আগে জানিয়েছিলেন, এই পজিশন তাঁর পছন্দের। তিনি এখানেই খেলতে চান।
তবে এই সিরিজও তেমন আশাব্যঞ্জক কিছু করতে পারেননি দলের হয়ে। প্রথম টেস্টে ফিরেছেন মাত্র ৬ রানে। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ভারতের সাবেক পেসার জহির খান জিও সিনেমা-তে মন্তব্য করেছেন শুবমান গিলের পারফরম্যান্স নিয়ে।
খান বলেন, “আমি ১০ এর মধ্যে ৪ দিব। ৫ রাখছি ‘এভারেজ বেঞ্চমার্ক’ হিসেবে। এবং তোমার হতে পারে বিলো এভারেজ সিরিজ অথবা হতে পারে অ্যাবোভ এভারেজ সিরিজ।” গিলের পারফরম্যান্সকে এভাবে ‘রেট’ করেন এই সাবেক পেসার।
এছাড়াও ভারতের সাবেক দল নির্বাচক সাবা করিম গিলের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেছেন। একমত প্রকাশ করেছেন জহির খানের সাথে।
করিম বলেন, “আমার রেটিং জ্যাকের (জহির খান) মতোই হবে। এই সিরিজটা তাঁর (গিল) যেরকম আশা, তার নিচে। সে এটা নিয়ে একেবারে খুশি হবেনা। কিন্তু এটা খুব তাড়াতাড়ি। আমি নিশ্চিত সে শিখবে। আপনি যখন তাঁকে ‘মাল্টি-ফরম্যাট’ খেলোয়াড় হিসেবে চিহ্নিত করতে চাইবেন, তাঁকে আপনার সেই জায়গাটা দিতে হবে।”
জহির খান আরো মনে করেন, শুবমান গিলের চিন্তাভাবনা নতুন করে শুরু করতে হবে। তিন নম্বরে ব্যাট করার ক্ষেত্রে, বড় ওপেনিং জুটি হলে বল কতটা নরম হয়ে ধরা দিবে ইত্যাদি বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরী মনে করেন খান।