জুমবাংলা ডেস্ক : ঈদ-পরবর্তী ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে বিক্রি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৪ মার্চ যারা টিকিট কিনবেন তারা আগামী ৩ এপ্রিল ভ্রমণ করতে পারবেন। ঈদের পরের আন্তঃনগর ট্রেনের ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চ, ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ, ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ, ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ।
এছাড়া, চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হতে পারে। ঈদযাত্রার সব টিকিট অনলাইনে কিনতে হবে। দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) বাতিল করা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ঈদের পরে যথারীতি সাপ্তাহিক ডে-অফ কার্যকর থাকবে। ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।
এদিকে, গত বছরগুলোতে ঈদযাত্রায় ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হলেও এবার সেটি কমিয়ে পাঁচ জোড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ২ নামে দুটি এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে। ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৩ ও ৪ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে। ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে এবং জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে।
ঈদযাত্রায় যাত্রীদের সুবিধার্থে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যাত্রীদের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ একবার চারটি আসনের টিকিট কিনতে পারবেন। কোনো টিকিট রিফান্ড করা যাবে না।
ঈদযাত্রায় রেলওয়ের এই ব্যবস্থা যাত্রীদের জন্য সহজ ও সুবিধাজনক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যাত্রীদের অনুরোধ, টিকিট কিনতে এবং যাত্রার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।