ইয়েমেনে আল-কায়েদার হামলা, নিহত ২৭ | আন্তর্জাতিক

ইয়েমেনে আল-কায়েদার হামলা, নিহত ২৭ | আন্তর্জাতিক

<![CDATA[

গৃহযুদ্ধকবলিত ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় আবিয়ান প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধা ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২১ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধা ও ৬ জন আল-কায়েদার সদস্য। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) এ হামলার ঘটনা ঘটে। এএফপির খবরে বলা হয়, আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলার (একিউএপি) যোদ্ধারা আবিয়ান প্রদেশের আহওয়ার জেলার সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এসটিসি) নামে সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর চেক পয়েন্ট লক্ষ্য করে হামলা চালায়। হামলায় তারা রকেটচালিত গ্রেনেড, হালকা ও মাঝারি অস্ত্র ও সামরিক যান ব্যবহার করে।

আল-কায়েদার এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ অভিহিত করে এসটিসির মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-নাকিব বলেন, আল-কায়েদার এ হামলায় তাদের এক কমান্ডারসহ ২১ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তাদের যোদ্ধারা পাল্টা হামলা চালালে আল-কায়েদার ৬ সদস্য নিহত হন। মোহাম্মদ আল-নাকিব আরও জানান, নিহত কমান্ডার ইয়াসির নাসির শাঈ এসটিসির ‘অ্যান্টি-টেরর ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন।

আরও পড়ুন: ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতার সম্ভাবনা, কাটবে জ্বালানি সংকট

২০১৪ সাল থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে। ওই বছর রাজধানী সানাসহ ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। এতে প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মানসুর হাদি প্রথমে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ও পরে সৌদি আরবে পালাতে বাধ্য হন।

মূলত এর পর থেকেই সেখানে গৃহযুদ্ধ চলে আসছে। এ যুদ্ধের চূড়ান্ত মাত্রা লাভ করে ২০১৫ সালের মার্চে। সে সময় জাতিসংঘের সমর্থনে দেশটিতে প্রবেশ শুরু করে সৌদি সামরিক জোট। এই জোট মানসুর হাদিকে তার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে চায়। প্রথমদিকে হুতি যোদ্ধারা কিছুটা বেকায়দায় থাকলেও ধীরে ধীরে তারা শক্তি অর্জন করেছে।

সৌদি সামরিক জোট ও ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের সংঘাতকে ব্যবহার করে ইয়েমেনে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে আসছে আল-কায়েদার ইয়েমেনভিত্তিক শাখা আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (একিউএএম)।

আরও পড়ুন: ওমরাহ পালনে ভিসা সংক্রান্ত নতুন ঘোষণা

]]>

Scroll to Top