তেল আবিব ও হাইফা শহরকে লক্ষ্য করে সোমবার (১৬ জুন) রাতে আবারও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলের ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পর আবারও সম্প্রচারে ফিরেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপনাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের হামলার জবাবে তেল আবিব ও হাইফায় ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। রাতে ইসরায়েল জুড়ে সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হামলার কিছুক্ষণ পরই আবার সম্প্রচারে ফেরে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। ইসরায়েলি হামলায় ইরানে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হামলার পরপরই ইসরায়েলে আরেক দফা ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেল আবিব এবং হাইফায় ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তবে ইসরায়েলের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, রাতে ইসরায়েল জুড়ে সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, ইরানের ছোঁড়া ক্ষেপনাস্ত্রগুলোর বেশির ভাগ আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। দু’টি ক্ষেপনাস্ত্র ফাঁকা স্থানে পড়েছে।
ইরান দাবি করেছে, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম হ্যাক করে তাদের ক্ষেপনাস্ত্র গুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
ইরানের ধারাবাহিক জবাবের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি হত্যা করলেই সংঘাত শেষ হবে।
অন্যদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইরান যুদ্ধের বিস্তৃতি চায়না, তবে ইসরায়েলের হামলার জবাব দেয়া হবে।
ইসরায়েল এবং ইরানের সংঘাত নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন জি-সেভেন ভুক্ত দেশের নেতারা। কানাডায় জি-সেভেনের বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বলেছেন, নিজেকে রক্ষা করার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে।
অন্যদিকে, জাপান কঠোর ভাষায় ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে।