চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ইরানে সামরিক হামলার সম্ভাব্য পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এখনও তিনি হামলার চূড়ান্ত নির্দেশ দেননি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই সপ্তাহ সময় নেবেন বলে জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৯ জুন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
লেভিট জানান, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত হবে কি না এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে নিকট ভবিষ্যতে আলোচনা হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, যা হতে পারে আবার নাও হতে পারে। এই ভিত্তিতে আমি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবো, আমি যাবো কিনা।
এর আগে মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বুধবার (১৮ জুন) তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গোপনে ইরানে সামরিক হামলার পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছেন, তবে এখনো চূড়ান্ত নির্দেশনা জারি করেননি। এমনটিই জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টারা।
ইসরায়েলের হামলায় তেহরানসহ কয়েকটি শহরে বিস্ফোরণ হয়েছে। বেসামরিক স্থাপনায় হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস বলছে, এ পর্যন্ত ইরানে অন্তত ৬৩৯ জন নিহত হয়েছেন। তবে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত ২২৪ জন, আহত ১ হাজার ২৭৭।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে। আরব সাগরে মোতায়েন করা হয়েছে একটি বিমানবাহী রণতরীসহ একাধিক যুদ্ধজাহাজ। ইউরোপ থেকেও পাঠানো হয়েছে সামরিক বিমান।
বৃহস্পতিবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে ইসরায়েলের বিরসেবা শহরের সোরোকা হাসপাতালে ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে ইরানের আইআরজিসি জানিয়েছে, লক্ষ্য ছিল হাসপাতালের পাশে থাকা একটি সামরিক ও গোয়েন্দা দপ্তর।