ইরানে বিতর্কিত ‘পোশাক আইন’ স্থগিত

ইরানে বিতর্কিত ‘পোশাক আইন’ স্থগিত

ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কিত পোশাক আইন স্থগিত করা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) আইন স্থগিত কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এই পোশাকের আইনটিকে অস্পষ্ট এবং আইনটিতে সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে অভিহিত করেছেন।

প্রস্তাবিত নতুন আইনে নারীদের তাদের চুল, বাহু , পা উন্মুক্ত করার জন্য কঠোর শাস্তির প্রবর্তন করা হবে। নারীদের ওপর আরোপিত এই কঠোর পোষাক আইন কয়েক দশক ধরে ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্র শাসকদের দ্বারা জাতীয় নিরাপত্তা অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

GOVT

প্রস্তাবিত এই আইনে, যারা আইন ভঙ্গ করবে বা মানবে না তাদের ভারী জরিমানা এবং ১৫বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হবে। এই আইনের প্রেক্ষিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ইরানি কর্তৃপক্ষ দমন-পীড়নের শ্বাসরুদ্ধকর ব্যবস্থাকে আটকাতে চাইছে।

গত জুলাই মাসে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পেজেশকিয়ান প্রকাশ্যে হিজাব ইস্যুতে ইরানি নারীদের সাথে আচরণের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি তাদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

গত সপ্তাহে হিজাব বিতর্ক আরও গতি পায় যখন ইরানের একজন জনপ্রিয় গায়ক পরাস্তু আহমাদি হিজাব না পরে ইউটিউবে দর্শকদের সাথে একটি ভার্চুয়াল কনসার্টে অংশ নেন। কনসার্টটি দ্রুত ভাইরাল হয় যার ফলে আহমেদি এবং তার ব্যান্ডমেটদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে জনরোষের মুখে পরের দিন কর্তৃপক্ষ তাদের ছেড়ে দেয়। ২০২২ সালে ইরানে দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর থেকে হিজাবকে ঘিরে উত্তেজনা এখনও রয়ে গেছে।

Shoroter Joba

Scroll to Top