অনলাইন ডেস্ক : ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর (২২) বিক্ষোভে উত্তাল ইরান।
বিগত ৭ দিন ধরে চলা বিক্ষোভে বেসরকারি সংগঠনগুলোর হিসাব অনুসারে ৩০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছেন। এবার বিক্ষোভকারীদের ‘কতলের’ শাস্তি চেয়ে মিছিল করেছেন সরকারপন্থীরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভকারীদের শাস্তি চেয়ে মিছিল করেছে সরকারপন্থীরা। বিপরীতে মাশা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানের নীতি পুলিশের বিলোপ চেয়ে বিক্ষোভরতদের বিক্ষোভ বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাঁরা প্রয়োজন হলে বিক্ষোভকারীদের মাঠ থেকে সরাতে তাদের মুখোমুখি হবে।
শুক্রবারের মিছিলে সরকারপন্থী মিছিলকারীরা বিক্ষোভকারীদের ‘ইসরায়েলের সৈনিক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এ সময় মিছিলকারীরা ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ এবং ‘ইসরায়েল নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দেয়। মিছিলকারীরা এ সময়, ‘কোরআন অবমাননাকারীদের অবশ্যই কতল করতে হবে’—বলেও স্লোগান দেয়। ইরানে সাধারণত ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে সাধারণ শত্রু বলে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে, ইরানের সশস্ত্রবাহিনী বিক্ষোভকারীদের ইসলামিক শাসনতন্ত্রকে দুর্বল করার লক্ষ্যে পরিচালিত শয়তানি কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছে, ‘শত্রুরা এই মরিয়া কর্মকাণ্ডগুলো কেবলই ইসলামি শাসনকে দুর্বল করার লক্ষ্যে চালিয়ে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তেহরানে মারা যাওয়া ২২ বছরের তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পরে দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর মাশা আমিনি ‘হৃদ্রোগে’ আক্রান্ত হয়ে কোমায় চলে যান এবং পরে গত শুক্রবার মারা যান। তবে মাশা আমিনির পরিবার বলেছে, তাঁর আগে থেকে হৃদ্রোগ ছিল না।