ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর তেলের দামে অস্থিরতা – DesheBideshe

ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর তেলের দামে অস্থিরতা – DesheBideshe


ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর তেলের দামে অস্থিরতা – DesheBideshe

তেহরান, ১৩ জুন – ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার পর শুক্রবার (১৩ জুন) বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৭% এরও বেশি বেড়ে গেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এর ফলে বহু মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দামের কাছাকাছি পর্যায়ে উঠেছে তেলের দাম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দাম ৫.১ ডলার বা প্রায় ৭.৪% বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৭৪.৪৬ ডলারে পৌঁছেছে। ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অপরিশোধিত তেলের দাম ৫.১ ডলার বা ৭.৫% বেড়ে ৭৩.১৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

ইসরায়েলি সরকার বলেছে, তারা শুক্রবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং সামরিক কমান্ডারদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখার জন্য এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী অভিযানের অংশ।

ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নাতানজে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তদন্তে সাইটের বাইরে কোনো তেজস্ক্রিয় বা রাসায়নিক দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এসইবি বিশ্লেষক ওলে হভালবি রয়টার্সকে বলেন, প্রাথমিক উদ্বেগ ছিল সর্বশেষ ঘটনাবলী হরমুজ প্রণালীর উপর প্রভাব ফেলবে কি না, সেটি নিয়ে। মূল জলপথটি আগেও বর্ধিত আঞ্চলিক অস্থিরতার কারণে প্রভাবের ঝুঁকিতে ছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি প্রভাবিত হয়নি।

বিশ্বের মোট ব্যবহৃত তেলের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এই হরমুজ প্রণালী দিয়ে যায়। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে, প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া অথবা এই অঞ্চলের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর প্রতিশোধমূলক প্রতিক্রিয়ার ফলে প্রতি ব্যারেলের দাম ১২০-১৩০ ডলারে পৌঁছাতে পারে।

বিশ্লেষক জানিভ শাহ বলেন, মূল প্রশ্ন হলো তেলের এই দাম বৃদ্ধি সপ্তাহান্তের চেয়ে বেশি সময় ধরে চলবে – নাকি এক সপ্তাহের জন্য। আমাদের ইঙ্গিত হলো যে, একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সম্ভাবনা কম এবং তেলের দাম বৃদ্ধি সম্ভবত প্রতিরোধ করা যাবে।

সূত্র: ইত্তেফাক
আইএ/ ১৩ জুন ২০২৫



Scroll to Top