ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে শুরু হওয়া এই হামলায় ইরানজুড়ে সক্রিয় হয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ও প্রেস টিভির তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী তেহরানের দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান ব্রডকাস্টিং (আইআরআইবি) জানিয়েছে, পশ্চিম তেহরানে হামলার ঘটনা ঘটেছে, পাশাপাশি তেহরান সংলগ্ন কারাজ শহরেও হামলা চালানো হয়েছে।
বিবিসি একটি ভিডিও যাচাই করেছে, যাতে তেহরানের কাছে ইসরায়েলি হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি দেখা গেছে। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা, আকাশজুড়ে প্রতিরক্ষা সক্রিয় হয়ে ওঠে।
শুক্রবার ভোরে চালানো এক অভিযানে ইসরায়েল তেহরানে ব্যাপক আঘাত হানে। ওই হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত কমপক্ষে দুই শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এই হামলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দুই চিরশত্রুর মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে। ১৯৮০ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধের পর এটাই দেশটির ওপর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সামরিক হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ইরানের আধাসামরিক বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এছাড়া হামলায় নিহত হয়েছেন আরও কয়েকজন শীর্ষ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও সামরিক কৌশলবিদ।
এই হামলার ফলে পুরো অঞ্চলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। তেহরানের কূটনৈতিক ও সামরিক দপ্তরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।