ইরানকে ৬০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিনই দেশটিতে ভয়াবহ হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) ট্রাম্প নিজেই ওই সময়সীমা বেঁধে দেয়ার কথা জানান।
ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ৬০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। শুক্রবারই ৬১তম দিন। সেই কারণেই ইসরায়েল ইরানের উপর হামলা চালিয়েছে। এই হামলা ঠেকাতে, আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দেয়ার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু ইরান তাদের অবস্থানে অনড় ছিল। সেই কারণেই তাদের এই পরিণতি।
শুক্রবার ইরানের উপর আকাশপথে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ইরানের চার শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা এবং ৬ জন পরমাণু বিজ্ঞানীর।
ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ অভিযানে নিহত হয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল মহম্মদ বাগেরি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে তেহরান।
ইসরায়েলে পর পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। যদিও নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানের অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই আটকে দেয়া হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলেও মেনে নেয়া হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা স্পষ্ট করা হয়নি।
এর মাঝেই ট্রাম্প জানান, পশ্চিম এশিয়ায় নতুন করে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি একেবারেই চিন্তিত নন। যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন নয়। তারা ইরানে ইসরায়েলের এই হামলা পেছানোর চেষ্টা করেছিল। ইসরায়েলি হামলা আমি পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কূটনীতি এবং আলোচনার জন্য ইরানকে যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। তেহরানকে আমি ৬০ দিনের চূড়ান্ত সময় দিয়েছিলাম। আজ ৬১তম দিন।
ট্রাম্প বলেন, আমি বলেছিলাম, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, সেটা ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে।
ইরানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এবং আলোচনায় জড়িত ব্যক্তিরা জানতেন যে সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য চাপ ক্রমেই বাড়ছিল।
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন, ৬০ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আলোচনা চলবে। কিন্তু এখন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর হামলা চালানোর পর এই আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জোর দিচ্ছেন।