সানা, ২৫ এপ্রিল – ইয়েমেনের সশস্ত্র আন্দোলন হুথির যোদ্ধারা গত ছয় সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে সাতটি মার্কিন রিপার ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এর ফলে ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মতে, গত সপ্তাহে তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয়, হুথিদের ইয়েমেনের ওপর দিয়ে উড়ন্ত চালকবিহীন বিমানকে লক্ষ্যবস্তু করার ক্ষমতা উন্নত হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা এপিকে জানিয়েছেন, ড্রোনগুলো আক্রমণাত্মক অভিযান বা নজরদারি পরিচালনা করছিল। আগুলো জলে-স্থলে – উভয় স্থানেই বিধ্বস্ত করা হয়েছে।
গত ১৫ মার্চ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নতুন, সম্প্রসারিত অভিযানের নির্দেশ দেন। তখন থেকে আমেরিকা হুথিদের ওপর আক্রমণ বাড়িয়েছে, বলতে গেলে প্রতিদিনই হামলা হয়েছে। ট্রাম্প হুথিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক করিডোর দিয়ে ‘জাহাজ চলাচলের ওপর আক্রমণ বন্ধ না করা পর্যন্ত অপ্রতিরোধ্য প্রাণঘাতী শক্তি’ ব্যবহারের হুমকি দেন।
সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র ডেভ ইস্টবার্ন স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ৮০০টিরও বেশি হুথি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় একাধিক কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল স্থাপনা, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, উন্নত অস্ত্র তৈরির স্থাপনা, উন্নত অস্ত্র সংরক্ষণের স্থান ধ্বংস করা হয়েছে এবং শত শত হুথি যোদ্ধা এবং অসংখ্য হুথি নেতা নিহত হয়েছেন।
আরেকজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করে এপিকে বলেছেন, ড্রোন ধ্বংসের ঘটনাগুলো এখনো তদন্তাধীন। মার্কিন হামলা বৃদ্ধি বিমানেরও ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে এই অঞ্চলে সৈন্য, সরঞ্জাম এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদন অনুসারে, অত্যাধুনিক ড্রোনগুলোর প্রতিটির দাম প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার। এগুলো সাধারণত ৪০,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় ওড়ে।
সূত্র: ইত্তেফাক
আইএ/ ২৫ এপ্রিল ২০২৫