দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছেন পারভেজ হোসেন ইমন। এর আগে কেবল তামিম ইকবাল একবার পেরেছেন শতক ছুঁতে, ২০১৬ সালে। প্রায় ৯ বছর পর সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সেঞ্চুরি হাঁকালেন বাংলাদেশি কেউ। ইমনের এই অনবদ্য কীর্তি গড়ার ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
শারজায় দুই ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে আরব আমিরাতকে ২৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টসে হেরে আগে ব্যাটে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৯১ রান করে টিম টাইগার্স। জবাবে নেমে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানে থামে আমিরাতের ইনিংস।
রানতাড়ায় নেমে আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম ফিফটি করেছেন। ৭টি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৪ রান করেন। তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় ২১ বলে ৪২ রান করে আসিফ শেখ। এছাড়া ২২ বলে ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া। বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
বাংলাদেশ বোলাদের মধ্যে হাসান মাহমুদ তিন উইকেট নেন। তানজিম সাকিব, মোস্তাফিজ ও শেখ মেহেদী নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে শারজায় মহাকাব্য রচনা করেন ইমন। ৭ ম্যাচ খেলে পারভেজ হোসেন ইমনের ঝুলিতে ছিল কেবল ৮৮ রান। সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৩৯ রানের। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ক্যারিয়ারে অষ্টম আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে ব্যাটে নেমে ফিফটি করেন, সেটাকে আবারও সেঞ্চুরিতে পরিণত করেন ইমন। একাধিক রেকর্ড গড়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টি-টুয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেন ২২ বর্ষী ক্রিকেটার।
৯টি ছক্কা ও ৫টি চারে ৫৩ বলে সেঞ্চুরি করেন ইমন। তার আগে কেবল তামিম ইকবাল টি-টুয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০১৬ সালে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে ১০৩ রান করেন সাবেক এই ওপেনার।
সেঞ্চুরি গড়া ইনিংসে দুটি রেকর্ডও গড়েন ইমন। বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক এখন তিনি। আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৯টি ছক্কা হাঁকান তিনি। এর আগে গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে ৭টি ছক্কা মেরেছিলেন রিশাদ হোসেন।
পাশাপাশি বাউন্ডারিতে আদায় করা সর্বোচ্চ রানের মালিকও তিনি। তার শত রানের ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে এসেছে ৭৪ রান। তার আগে রেকর্ডটি ছিল তামিমের। ওমানের বিপক্ষে করা ১০৩ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে আদায় করেছিলেন ৭০ রান।
ইমনের প্রাপ্তির দিনে বাংলাদেশও একটি রেকর্ড গড়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছে লাল-সবুজের দল। এই সংস্করণে এটাই সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২টি ছক্কা ছিল সর্বোচ্চ। ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ১২টি ছক্কা হাঁকিয়েছিল টিম টাইগার্স।
ইমনের ৫৪ বলে ১০০ রানের ইনিংসের দিনে বাকিরা আলো ছড়াতে পারেননি। তাওহীদ হৃদয় ২০ রান, জাকের আলি ১৩ রান, লিটন ১১ রান এবং তানজিদ তামিম ১০ রান করেন।
স্বাগতিক বোলারদের মধ্যে দারুণ করেন মোহাম্মদ জাওয়াউল্লাহ। ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ধ্রুভ পারাশার, মতিউল্লাহ খান ও মোহাম্মদ যুবাইব একটি করে উইকেট নেন।