ইবিতে খসে পড়েছে হলের ছাদ পলেস্তারা, অল্পের জন্য রক্ষা পেল কর্মচারীরা

যায়িদ বিন ফিরোজ, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হলের রান্নাঘরে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ডাইনিং এর কর্মচারীরা। এ ঘটনায় তাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের রান্নাঘরে ছাদের আস্তরণ আকস্মিক ভাবে খসে পড়ে। এসময় সেখানে ৩ জন ডাইনিং কর্মী কাজ করছিলেন।

জানা যায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই ডাইনিং ও টিভি রুমে ছাদ চুইয়ে পানি পরে। ঐসব কক্ষের অধিকাংশ দেয়াল স্যাঁতসেঁতে রূপ ধারণ করেছে। কারণ হিসেবে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে জোড়া-তালি সংস্কার’সহ নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে হলের শিক্ষার্থী ও ডাইনিং সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে।

এ ঘটনায় ডাইনিং কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, অনেক দিন আগে থেকেই ছাদের এইরকম অবস্থা। সিমেন্ট, বালু দিয়ে অনেকবার কাজ করা হলেও কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবার আগের মতো খসে পড়ে যায়। ডাইনিংয়ে আমরা মোট ৯-১০ জন কাজ করি। গতকাল যখন ঘটনাটি ঘটে তখন রান্না করছিলাম হঠাৎ করেই আস্তরণটি খসে পড়ে একটুর জন্য মাথায় পড়ে নি। যদি মাথায় পড়তো বড় ধরনের দুর্ঘটনা হয়তো হয়ে যেতে পারতো।

তারা আরও বলেন, দেয়ালগুলোর এখন যে অবস্থা যেকোনো সময়েই যেকোনো অঘটন ঘটে যেতে পারে। এই বিষয়গুলো সব প্রভোস্টকেই জানানো হয়েছে। যে প্রভোস্ট দায়িত্বে আসে তাকেই জানানো হয় কিন্তু কোনো কাজ হয় না। গতকাল আনুমানিক সাতটার দিকে ঘটনাটি ঘটে। কয়েক মাস আগেও ছাদের আস্তরণ পড়ে মহাজনের পা কেটে গিয়েছিল এইজন্য আমরা সবসময় ভয়ে থাকি কখন আবার ছাদ খসে পড়ে।

এদিকে হলের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ বলেন, বৃষ্টি হলেই টিভি রুম ও ডাইনিং রুমের দেয়াল ঘেঁষে পানি পরে। যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করবে এই প্রত্যাশা করি।

সাদ্দাম হোসেন হলের ডাইনিং ম্যানেজার আবেদ বলেন, এর আগেও কয়েকবার রান্নাঘরে খসে পড়েছে ছাদের পলেস্তরা। এতে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। কর্তৃপক্ষকে জানালেও তেমন সুরাহা মিলছেনা।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান বলেন, এই ঘটনাটি আমি শুনেছি কিন্তু ঘটনার পর আমি আর অফিসে যাইনি। ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমি কয়েকদিন আগেই লক্ষ্য করেছি ওখানকার ছাদের পুরোটাই ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে। এখন ইন্জিনিয়ারিং অফিস কি করে দেখি যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় তখন হল থেকেই ব্যবস্থা করতে হবে। আর আমি হলের কর্মচারীদেরকে এই কয়েকদিন সাবধানে চলাফেরা করার জন্য বলেছি।

Scroll to Top