শুধু শিরোপা জয়ের জন্যই নয় বরং পিএসজি যেভাবে খেলেছে, সেজন্যও এই রাতটি ক্লাবটির সমর্থকদের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে। ইউরোপসেরার এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এর আগে ফাইনালে কোনো দলই ৫ গোল ব্যবধানে জিততে পারেনি। এনরিকের পিএসজি প্রথম দল হিসেবে গোল ব্যবধানের এত বড় মালা গাঁথার পাশাপাশি এ মৌসুমে ‘ত্রিমুকুট’ও জিতে নিলো।
ভাগ্যের কী লীলা, পিএসজির আক্রমণের পর আক্রমণে বিবশ হয়ে পড়া ইন্টারেরও ‘ট্রেবল’ জয়ের সুযোগ ছিল। কিন্তু রাতটি আসলে তাঁদের ছিল না। ৯ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমানো মেয়ে জানার জন্য এবারের ইউরোপসেরার মুকুট জিততে চেয়েছিলেন পিএসজি কোচ এনরিকে। সৃষ্টিকর্তা শুধু তাঁর মনের এই ইচ্ছে-ই পূরণ করেননি, দ্বিতীয়বারের মতো মাথায় তুলে দিলেন ‘ত্রিমুকুট’ও। রাতটি তাই শুধু পিএসজির না হয়ে পারে-ই না!
ফরাসি ক্লাবটির ক্ষুরধার আক্রমণের সামনে আসলে বালির বাঁধের মতো ধ্বসে পড়েছে ইতালিয়ান রক্ষণের প্রতিভূ হয়ে থাকা ইন্টারের ডিফেন্স। ২০ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধে আর গোল হজম করেনি ইন্টার। কিন্তু বিরতির পর ৬৩, ৭৩ ও ৮৬ মিনিটে আরও তিন গোল হজম করার পথে সিমোনে ইনজাঘির দলকে দেখে মনে হয়েছে তৃতীয় গোলটি খাওয়ার পরই হাল ছেড়ে দিয়েছে।
হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন ইনজাঘি নিজেও। স্যুট পরে ডাগ আউটে দাঁড়ানো এই ইতালিয়ান কোচ প্রথম দুটি গোল হজমের পর গায়ের কোট খুলে ভীষণ উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। মাঠে শিষ্যরা যে দাঁড়াতেই পারছিলেন না! চতুর্থ গোল হজমের পর নিশ্চুপ হয়ে যান ইন্টারের এই কোচ। বুঝে ফেলেছিলেন, আর লাভ নেই।
১২ মিনিটে পিএসজি রাইটব্যাক আশরাফ হাকিমির গোলের ৮ মিনিট পর দ্বিতীয় গোলটি ফরোয়ার্ড দেজিরে দুয়ের। বিরতির পর ৬৩ মিনিটে দুয়ে তৃতীয় গোলটি করার পর ম্যাচে শুধু আনুষ্ঠানিকতাই বাকি ছিল। ৭৩ মিনিটে খিচা কাভারেস্কাইয়া ও ৮৬ মিনিটে মাইয়ুলুর গোল পিএসজির পক্ষ থেকে যেন সেই আনুষ্ঠানিকতারই শেষ উপহার!
বিস্তারিত আসছে…।