পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সম্প্রতি ইনজামাম-উল হক এর পদত্যাগপত্র অনুমোদন করেছে। পাশাপাশি খুব শীঘ্রই নতুন কাউকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আজ এক বিবৃতির মাধ্যমে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত জানায়। পাকিস্তান জাতীয় দল ও পাকিস্তান জুনিয়র দল এর নির্বাচক প্যানেলের প্রধান ছিলেন ইনজামাম। বিশ্বকাপ চলমান থাকা অবস্থায় নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেন তিনি।
মূল ঘটনা, পাকিস্তানি মিডিয়ার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, ইনজামাম যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ‘ইয়াজু ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানির চারজন সক্রিয় পরিচালকের একজন। কোম্পানির আরেক পরিচালক হলেন ‘সায়া কর্পোরেশন’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তালহা রেহমানি, এটি একটি সংস্থা যা পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বেশ কিছু খেলোয়াড়ের ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করে।
বাবর আজম, শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান সহ বিশিষ্ট কিছু খেলোয়াড়রা এর সাথে যুক্ত। যুক্তরাজ্য সরকারের একটি পাবলিক সেক্টর তথ্য অনুসারে, রিজওয়ান ইনজামামের পাশাপাশি ইয়াজুতেও পরিচালকের দায়িত্বে আছেন। এই বিষয়গুলি এতদিন খুব একটা সামনে আসেনি, ছিল না প্রকাশ্যমান। তবে ইদানীং এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, দলের প্রধান নির্বাচক ও খেলোয়াড় একই কোম্পানির পরিচালক থাকাটা কোন প্রভাব রাখছে কি না।
এই স্বার্থের দ্বন্দ্ব থেকেই ইনজামাম নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি মনে করেন, পিসিবি এই তদন্ত তাঁদের মতো করে সঠিক উপায়ে সম্পন্ন করুক। তিনি এই পদে বহাল থাকলে, সেটি ঠিক হবে না এখন। তাই তাঁর মতে, পিসিবি যদি তাঁকে দোষী হিসেবে সাব্যস্ত না করে, সেক্ষেত্রে আবারও তিনি তাঁর পদে থাকতে সম্মত আছেন বলেও জানা গেছে।
অভিযোগগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করার জন্য পিসিবি একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি পুরো বিষয়টি তদন্ত, যাচাই ও পর্যালোচনা শেষ করে পিসিবির নিকট খুব দ্রুত ফলাফল হস্তান্তর করবে। সেক্ষেত্রে পিসিবির আশা, তাঁরা নতুন কোনো ঘোষণার দিকে যাব। অন্তত তাঁদের বিবৃতি থেকে এতটুকু স্পষ্ট হয়েছে।