তেল আবিব, ২২ জুন – মার্কিন বাহিনী ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনা—নাতাঞ্জ, ইসফাহান ও ফোরদোতে বিমান হামলা চালায় আজ। হামলার পর থেকে ইসরায়েলে প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এবার মুখ খুলেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’র।
এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, এই সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য ট্রাম্প ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম লিখে দিয়েছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপের’ নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এদিকে ইরানে বিমান হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। আমরা এমনভাবে একসঙ্গে টিম হিসেবে কাজ করেছি, যেমন আগে হয়তো কেউ কখনও করেনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, আমরা ইসরায়েলের প্রতি এই ভয়াবহ হুমকি মুছে দেওয়ার পথে অনেকদূর এগিয়েছি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অসাধারণ কাজের জন্য আমি তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।
ইরানে বিমান হামলার পর দেশটিকে আরও কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি বলেন, এখন হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য ট্র্যাজেডি অপেক্ষা করছে—যা গত আট দিনে যা ঘটেছে, তার চেয়েও অনেক ভয়াবহ।
এদিকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার মতো সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সমৃদ্ধির নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
সেই থেকে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত উভয় দেশের অনেকে নিহত ও আহত হলেও এই সহিংস পরিস্থিতি থামাতে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ২২ জুন ২০২৫