ইকুয়েডরের ফুটবলার জ্যাকসন রদ্রিগেজের স্ত্রী ও পাঁচ বছর বয়সী এক সন্তানকে অপহরণ করা হয়েছে। বুধবার জ্যাকসনের বাড়ি থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। জাতীয় দল থেকে সম্প্রতি অবসর নেয়া ২৬ বর্ষী জ্যাকসন তখন খাটের নিচে লুকিয়ে রক্ষা পান। জ্যাকসন ইকুয়েডরের প্রথমসারির দল লিগা প্রো’র এমেলেক এর হয়ে খেলেন।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান এডিসন রদ্রিগেজ জানিয়েছেন, ভোর ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রদ্রিগেজ সংবাদমাধ্যমে জানান, ওই খেলোয়াড় দরজা ভাঙার শব্দ শুনে খাটের নিচে লুকিয়ে ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
পুলিশের মতে, জ্যাকসন জানালা দিয়ে দেখেছেন, একটি ধূসর রঙের পিকআপ ব্যবহার করেছে দুষ্কৃতকারীরা। ইকুয়েডর সরকার ১০ দিন আগে দেশটির নয়টি স্থানে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর এ ঘটনা ঘটল। এ নয়টি স্থানের মধ্যে গুয়াইয়াস প্রদেশও আছে, যেখানে গুয়াইয়াকিল বন্দরনগরী অবস্থিত।
সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা জারি করা এসব স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কারণে সহিংস ঘটনা বাড়ছে।
গত বছর ডিসেম্বরে ইকুয়েডরের শীর্ষে লিগের ক্লাব লিগা দে কিটোর ডিফেন্ডার পেদ্রো পেরলাজাকে রাজধানী কিটো থেকে ১১৩ মাইল উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর এসমেরালদাসে অপহরণ করা হয়। কিছুদিন পর তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।